'পরীমণির অভিনয়ের কারণে আমি ফেঁসে গেলাম'
রিমান্ডের পর কারাগারে, জামিন নেওয়ার পর কারামুক্ত হয়েই নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন ব্যবসায়ী নাসির ইউ আহমেদ। তিনি বলেছেন, আমি কোনো অন্যায় করিনি। পরীমণির মিথ্যা অভিনয়ে ভিকটিম হয়ে গেলাম। আমাকে পরীমণি অভিনয় করে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসিয়েছে।
রিমান্ডের পর কারাগারে, জামিন নেওয়ার পর কারামুক্ত হয়েই নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন ব্যবসায়ী নাসির ইউ আহমেদ। তিনি বলেছেন, আমি কোনো অন্যায় করিনি। পরীমণির মিথ্যা অভিনয়ে ভিকটিম হয়ে গেলাম। আমাকে পরীমণি অভিনয় করে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসিয়েছে।
তার বিরুদ্ধে সাভার থানায় ও রাজধানীর বিমানবন্দর থানায় হওয়া মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ৩ জুলাই তিনি এসব কথা বলেন।
সাভার থানায় পরীমণির করা ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা মামলায় ২৯ জুন আদালতে জামিন পান নাসির ইউ আহমেদ। পর দিন ৩০ জুন বিমানবন্দর থানায় করা মাদক মামলায়ও জামিন পান তিনি। এরপর ১ জুলাই ঢাকার কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।
তার বিরুদ্ধে করা অভিযোগের বিষয়ে নাসির ইউ আহমেদ বলেন, পরীমণি সংবাদ সম্মেলনে চোখে গ্লিসারিন লাগিয়ে কান্নার নাটক করেছেন। সংবাদ সম্মেলন জুড়ে তিনি অভিনয় করেছেন। পরীমণির অভিনয়ের কারণে আমি ভিকটিম হয়েছি। প্রকৃত ঘটনাকে আড়াল করতে পরীমণি অভিনয় করেছে। তার অভিনয়ে আমি ফেঁসে গেছি। তবে আমি আশা করি, মামলার তদন্তে প্রকৃত রহস্য বের হয়ে আসবে এবং আমি ন্যায় বিচার পাব।
তিনি বলেন, ঘটনার রাতে পরীমণি প্রথমে বনানী যায়। সে অসুস্থ থাকায় তাকে পুলিশ হাসপাতালে পাঠায়। পরে সে মামলা না করে সংবাদ সম্মেলন ডেকে অভিনয় করে। সে প্রকৃত রহস্য ডাকার জন্য সংবাদ সম্মেলন করে কারও প্ররোচনায় আমার বিরুদ্ধে মামলা করেছে। দেশের যেকোনো নাগরিকের মামলা করার অধিকার আছে। তবে তদন্তে পরীমণির অভিনয় উঠে আসবে এবং প্রকৃত রহস্য বের হবে বলে আমি আশা করি।
পরীমণির বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করতে পারেন উল্লেখ করে ব্যবসায়ী নাসির বলেন, হয়ত আমি তার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করব। যেহেতু এখন আমি জামিনে আছি এবং মামলাগুলো তদন্তাধীন সেহেতু এখন কোনো পদক্ষেপ নেব না। তবে মামলার তদন্ত শেষ হলে আমার পরামর্শকদের সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।
মাদক মামলার বিষয়ে তিনি বলেন, যে বাসাটিতে মাদক পাওয়া গেছে সেই বাসাটি আমার না। তাই এ বিষয়ে কিছু বলতে চাই না। তদন্তে প্রকৃত রহস্য বের হয়ে আসবে।
প্রকৌশল নিউজ/এমআরএস