মজুদ ছাড়া পণ্যের অর্ডার নিতে পারবে না ‘ই-কমার্স’ প্রতিষ্ঠান
পণ্যের মজুদ করা কোনো ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান অগ্রীম অর্ডার নিতে পারবে না। এছাড়া ক্রেতা ও বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান একই শহরের হলে অর্ডার নেয়া পণ্য পরবর্তী পাঁচ দিন এবং ভিন্ন শহর হলে পরবর্তী ১০ দিনের মধ্যে ডেলিভারি নিশ্চিত করতে হবে।
পণ্যের মজুদ ছাড়া কোনো ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান অগ্রীম অর্ডার নিতে পারবে না। এছাড়া ক্রেতা ও বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান একই শহরের হলে অর্ডার নেয়া পণ্য পরবর্তী পাঁচ দিন এবং ভিন্ন শহর হলে পরবর্তী ১০ দিনের মধ্যে ডেলিভারি নিশ্চিত করতে হবে।
এসব নির্দেশিকা সংযুক্ত করে ডিজিটাল কমার্স পরিচালনা নির্দেশিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। বুধবার ডিজিটাল বাণিজ্য পরিচালনা সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এটি চূড়ান্ত করা হয়। বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ সভায় সভাপতিত্ব করেন।
সভায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, ই-ক্যাবসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকশেষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক মো. হাফিজুর রহমান বলেন, ‘অনলাইন কেনাকাটায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত ও গ্রাহক প্রতারণা এড়াতে প্রয়োজনীয় নির্দেশিকা নীতিমালায় রাখা হচ্ছে। ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানকে পণ্যের মজুদ আগে ঘোষণা করতে হবে এবং মজুদ থাকা সাপেক্ষে কেবলমাত্র পণ্য বিক্রির অগ্রীম অর্ডার নেয়া যাবে।’
তিনি জানান, কোনো পণ্যের অর্ডার নিলে গ্রাহক একই শহরের হলে পাঁচ দিন এবং ভিন্ন শহরের হলে পরবর্তী ১০ দিনের মধ্যে ডেলিভারি নিশ্চিত করার বিধান রাখা হয়েছে। পণ্য ডেলিভারির আগে বিক্রয়কারি টাকা পাবেন না, বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে মূল পরিশোধ করতে হবে।
হাফিজুর রহমান আরও জানান, ডিজিটাল কমার্স পরিচালনা নির্দেশিকা ভেটিংয়ের জন্য আগামীকাল আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।
তিনি বলেন, ‘অনলাইন পণ্য বিক্রির ক্ষেত্রে কোনো বিক্রয়কারি প্রতিষ্ঠানের লটারি করার সুযোগ থাকবে না। সব ধরনের ডিজিটাল ওয়ালেট, গিফট কার্ড, ক্যাশ ভাউচার বা অন্য কোনো মাধ্যম, যা অর্থের বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হবে, সেই সব ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি নিয়ে করতে হবে।’
ই-কমার্স নীতিমালা ২০২১ এ ডিজিটাল কমার্সের মাধ্যমে মাল্টি লেভেল মার্কেটিং বা নেটওয়ার্ক ব্যবসা পরিচালনা করা যাবে না। ডিজিটাল মাধ্যমে নেশাসামগ্রী, বিস্ফোরক দ্রব্য বা অন্য কোনো নিষিদ্ধ সামগ্রী ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে না। ডিজিটাল মাধ্যমে ওষুধ ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের লাইসেন্স গ্রহণ করতে হবে।
এছাড়া বিক্রয়কারি আগেভাগে টাকা পাবেন না। অর্ডার করা পণ্য গ্রাহক হাতে পাওয়ার পরই কেবলমাত্র বিক্রয়কারির একাউন্টে টাকা জমা হবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের গেটওয়ে সিস্টেম ব্যবহার করা হবে।