মা অফিসে, শিশুকে ধর্ষণ নিকটাত্মীয়ের
মা অফিসের থাকার সুযোগে শিশুকে নিয়মিত ধর্ষন করে আসছিলো নিকটাত্মীয়। র্দীঘদিন ধরে এমন অপরাধ সংঘটিত হয়ে আসলেও অবশেষে পুলিশ সেই ধর্ষককে গ্রেপ্তার করেছে, পাঠিয়েছে কারাগারে।
মা অফিসের থাকার সুযোগে শিশুকে নিয়মিত ধর্ষণ করে আসছিলো নিকটাত্মীয়। র্দীঘদিন ধরে এমন অপরাধ সংঘটিত হয়ে আসলেও অবশেষে পুলিশ সেই ধর্ষককে গ্রেপ্তার করেছে, পাঠিয়েছে কারাগারে।
গত ২৭ এপ্রিল বাংলাদেশ পুলিশের ফেইসবুক পেইজের ইনবক্সে এক সচেতন নাগরিক একটি বার্তা প্রেরণ করেন। বার্তায় তিনি উল্লেখ করেন, চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় এক মেয়ে শিশুকে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে আসছিল শিশুটিরই এক নিকটাত্মীয়। তথ্যদাতা ব্যক্তি অন্য জেলায় থাকেন। তিনি শিশুটির মায়ের দিকের আত্মীয় হন। শিশুটি এক পর্যায়ে তার মাকে সব খুলে বলে। পারিবারিক সম্মানের কথা বিবেচনা করে তারা বিষয়টি লুকিয়ে রাখেন।
এই তথ্যটি জানার পর তথ্যদাতা ভদ্রলোক অপরাধের গুরুত্ব বিবেচনা করে এর শাস্তি প্রয়োজন মনে করেন। তিনি মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং পরিচালিত ‘বাংলাদেশ পুলিশ অফিসিয়াল ফেইসুবক পেইজ’ এর ইনবক্সে বিষয়টি জানিয়ে একটি বার্তা প্রেরণ করেন। বার্তাটি পেয়ে মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং ওসি পতেঙ্গা মোহাম্মদ জোবাইর সৈয়দকে নির্দেশনা দেন বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে।
ওসি পতেঙ্গা এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিতে এসআই সুবীর পাল, এসআই বাবুল আক্তার এবং এএসআই দিলরুবা খানমকে নিয়োজিত করেন। প্রাথমিক তদন্তে বিষয়টির সত্যতা পাওয়া যায়। তার প্রেক্ষিতে, বেশ কয়েকটি স্থানে অভিযান চালিয়ে অবশেষে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। আসামীকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি তার অপরাধ স্বীকার করেছেন। ভুক্তভোগী শিশুটির মা এ বিষয়ে মামলা করেছেন। অন্যান্য আইনী প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
ভুক্তভোগী মেয়েটি এবং তার মায়ের সাথে যোগাযোগ ও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজন প্রশিক্ষিত নারী পুলিশ কর্মকর্তা নিয়োজিত ছিলেন। ভুক্তভোগীর পরিবারকে প্রয়োজনীয় আইনি সহায়তা দিতেও কাজ করছে মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং।
প্রকৌশল নিউজ/এমআরএস