লকডাউনে করোনা টিকা কার্যক্রম চলবে : দক্ষিণ সিটি মেয়র
১৪ এপ্রিল থেকে সর্বাত্মক লকডাউন চলাকালীন সময়ে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার হাসপাতাল ও মাতৃসদনে কোভিড কোভিড-১৯ টিকাদানসহ প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে জানিয়েছেন মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। এছাড়া এই সময়ে স্বাস্থ্যবিধি তদারকি ও মশার লার্ভার বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাও অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
১৪ এপ্রিল থেকে সর্বাত্মক লকডাউন চলাকালীন সময়ে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার হাসপাতাল ও মাতৃসদনে কোভিড-১৯ টিকাদানসহ প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে জানিয়েছেন মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। এছাড়া এই সময়ে স্বাস্থ্যবিধি তদারকি ও মশার লার্ভার বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাও অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
সোমবার বিকেলে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নগর ভবনে লকডাউন বাস্তবায়ন এবং জরুরী সেবা কার্যক্রম সংক্রান্ত এক সভায় এই কথা বলেন মেয়র।
তাপস বলেন, "এই করোনা মহামারীতে ঢাকাবাসীকে সেবা দেওয়ার জন্য আমাদের মহানগর জেনারেল হাসপাতাল প্রস্তুত রয়েছে। সেখানে করোনা পরীক্ষা করা হয় এবং তার সাথে সাথে কোভিড-১৯ টিকা প্রদান করা হয়। এছাড়াও মহানগর শিশু হাসপাতালে করোনা টিকা প্রদান চলমান থাকবে। একইসাথে আমাদের যে পাঁচটি নগর মাতৃসদন রয়েছে সেখানেও টিকার প্রদান কার্যক্রম চলমান থাকবে। সুতরাং আমি ঢাকাবাসীর প্রতি অনুরোধ করব, আপনাদের যার যখন বার্তা চলে আসবে, আপনারা সাথে সাথে টিকা গ্রহণ করবেন।"
এসময় মেয়র আরও বলেন, "আমাদের স্বাস্থ্য সেবার মধ্যে যে কার্যক্রম রয়েছে, সেগুলো চলমান থাকবে। আমাদের নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও আঞ্চলিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোর মাধ্যমে শিশুদের জন্য যে ইপিআই টিকা প্রদান করা হয়, সেগুলো চলমান থাকবে। মায়েদের জন্য যে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা হয় তাও চলমান থাকবে।"
এডিস মশার লার্ভা এবং লকডাউনে স্বাস্থ্যবিধি ও বিধিনিষেধ প্রয়োগে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে জানিয়ে তাপস বলেন, "আমাদের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও সম্পত্তি বিভাগের মাধ্যমে দশটি অঞ্চলে ডেঙ্গুর লার্ভা নিয়ন্ত্রণে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে। এছাড়া লকডাউনের বিধিনিষেধগুলো যাতে বাস্তবায়ন হয়, বাজারগুলো যাতে তিনটার মধ্যে বন্ধ হয়ে যায় এবং সকাল ৯টার আগে না খোল হয় এই সব কিছুই তারা তদারকি করবে।
বৈঠকে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মো. বদরুল আমিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল ডা. শরীফ আহমেদ, সচিব আকরামুজ্জামানসহ বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানগণ ও শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
প্রকৌশল নিউজ/শা