৯৯৯ এ ফোনে চালক প্রাইভেটকার উদ্ধার, ৮ অপহরণকারী গ্রেপ্তার
গত ৩১ মে শামসু নামের এক ড্রাইভার একটি প্রভক্স প্রাইভেট গাড়িসহ ২ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকা থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। গাড়িটি কক্সবাজারের কাছাকাছি পৌঁছালে পথিমধ্যে এক জায়গায় থামতে অনুরোধ করে যাত্রীবেশি অপহরণকারীরা। সেখানে আগে থেকেই উৎপেতে অপেক্ষায় ছিল অপহরণকারী চক্রের অন্য সদস্যরা।
গত ৩১ মে শামসু নামের এক ড্রাইভার একটি প্রভক্স প্রাইভেট গাড়িসহ ২ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকা থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। গাড়িটি কক্সবাজারের কাছাকাছি পৌঁছালে পথিমধ্যে এক জায়গায় থামতে অনুরোধ করে যাত্রীবেশি অপহরণকারীরা। সেখানে আগে থেকেই উৎপেতে অপেক্ষায় ছিল অপহরণকারী চক্রের অন্য সদস্যরা।
গাড়িটি থামার সাথে সাথে তারা এসে গাড়িটিকে ঘিড়ে ফেলে এবং ড্রাইভারের মুখ এবং হাত পা বেঁধে গাড়ির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। তারপর তারা ড্রাইভারকে কক্সবাজারের উখিয়া থানাধীন কোন এক পাহাড়ে নিয়ে আটকে রাখে।
পরবর্তী পর্যায়ে ড্রাইভারের মাধ্যমে ঢাকায় তার গাড়ির মালিকের কাছে ৬ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। টাকা না পাওয়া গেলে ড্রাইভারকে মেরে ফেলাসহ গাড়ি অনত্র বিক্রি করে দিবে বলে মালিককে হুমকি দিতে থাকে তারা।
সম্ভাব্য বিপদের অনুমান করতে পেরে গাড়ির মালিক ৯৯৯ এ কল করে বিষয়টি জানান। ৯৯৯ অপারেটর সাথে সাথে বিষয়টি উখিয়া থানাকে জানায়। খবর পেয়ে উখিয়া সার্কেল অফিসার, উখিয়া থানার অফিসার ইন চার্জ এবং উখিয়া থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত এর নেতৃত্বে উখিয়া থানার ৩ টি চৌকস টিম অনুসন্ধানে নেমে পড়ে। তারা নানা কৌশল ও প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে কাজ করতে থাকে। অবশেষে শুক্রবার বিকেল থেকে একটানা ৩ টি জায়গায় অভিযান পরিচালনা করে উখিয়া থানার হলদিয়া পালং এর পাহাড়ি এলাকার একটি বাড়ি থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয় তারা। সেই সাথে অপহরণকারী চক্রের ৮ জনকে ( ৬ জন পুরুষ ও ২ জন নারী) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরবর্তীতে আসামিদের দেখানো মতে উখিয়া থানাধীন রতœাপালং ইউনিয়নের একটি জায়গা থেকে গাড়িটি উদ্ধার করে তারা।
প্রাথমিক জিজ্ঞেসাবাদে আসামিরা স্বীকার করে যে তারা প্রায় সময়ে বিভিন্ন জেলার গাড়ি কক্সবাজারে নিয়ে এসে চালককে অপহরণ করে মুক্তিপন আদায় করে আসছে। এছাড়া তারা মাদক চোরাকারবারির সাথেও জড়িত। বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় তাদের মাদকের সিন্ডিকেট রয়েছে। আটককৃতদের ৪ জনের নামে হত্যা, ডাকাতি ও মাদক আইনে পূর্বে মামলা রয়েছে। তারা এও স্বীকার করে যে তারা বিভিন্ন সময়ে জেলে থাকার কারণে বিভিন্ন জেলার লোকজনের সাথে পরিচয় ঘটে এবং তারা জেল থেকে বের হয়ে মাদক ও অপহরণের এই সিন্ডিকেটটি গঠন করে।
প্রকৌশল নিউজ/এমআরএস