শহীদ বুদ্ধিজীবীদের শ্রদ্ধা নিবেদনে মানুষের ঢল

শহীদ বুদ্ধিজীবীদের শ্রদ্ধা নিবেদনে মানুষের ঢল

রাজধানীর রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের শ্রদ্ধা নিবেদনে ভোর থেকেই জড়ো হতে থাকেন নানান শ্রেণি-পেশার মানুষ ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা।

সোমবার ভোর থেকেই জনমানুষের সমাগম শুরু হতে থাকে রায়ের বাজার বুদ্ধিজীবী স্মৃতি সৌধ এলাকায়। বেলা বাড়ার সাথে সাথে এই গণমানুষের সংখ্যা আরও বাড়তে থাকে।

রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে সকালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে আসেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি উপস্থিত গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, বিএনপি স্বাধীনতার পরাজিত শক্তিকে নিয়ে রাজনীতি করে। তাদের জোটের সঙ্গী হচ্ছে জামায়াতে ইসলাম। জামায়াতে ইসলাম দলগতভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছে। শুধু বিরোধিতাই নয়, দলগতভাবে তারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে। তারা আলবদর বাহিনী গঠন করেছে, তারা পাকিস্তানি বাহিনীকে সহযোগিতা করেছে। 

তিনি আরও বলেন, বুদ্ধিজীবীদের হত্যার নীলনকশা তাদের হাতেই গঠিত হয়েছিল। তারা শুধু পাকিস্তানের পক্ষ অবলম্বন করেনি, আমাদের মা-বোনের ইজ্জত লুণ্ঠনেও সহযোগিতা করেছে।

হাছান মাহমুদ বলেন, আজকের এদিনে আমি মনে করি, যে সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জাতীয় সংগীত গাওয়া হয় না, সেই সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অবশ্যই জাতীয় সংগীত গাওয়া প্রয়োজন। এটি আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। কারণ অনেক প্রতিষ্ঠান সচেতনভাবে জাতীয় সংগীত গাওয়া হয় না। এটি আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি অবমাননা। এটি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

এর আগে রায়েরবাজার বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধে ফুলের তোড়া দিয়ে বুদ্ধিজীবী শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি উপস্থিত গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, গতকাল (রোববার) পর্যন্ত ১ হাজার ২২২ জন বুদ্ধিজীবীর একটি তালিকা করা হয়েছে। এই তালিকাই শেষ না। দেশব্যাপী আরও যারা আছেন তাদের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। আমরা আশা করছি আগামী ২৬ মার্চের মধ্যে বুদ্ধিজীবীদের একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করতে পারব।’

এছাড়াও ভোর থেকেই আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের শ্রদ্ধা নিবেদন করতে আসেন।

ভোর থেকে বুদ্ধিজীবী স্মৃতি সৌধ এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিতের দায়িত্বে রয়েছেন ব্যাপক সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।