লকডাউনের মেয়াদ বাড়বে কিনা তার উত্তর মিলবে বৃহস্পতিবার
দ্বিতীয় দফায় বাড়তে থাকা করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে চলমান সাতদিনের ‘লকডাউনের’ মেয়াদ আরও বাড়বে কি না, সেটি জানা যাবে আগামী বৃহস্পতিবার।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে চলমান সাতদিনের ‘লকডাউনের’ মেয়াদ আরও বাড়বে কি না, সেটি জানা যাবে আগামী বৃহস্পতিবার।
সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার পর্যালোচনা করা হবে। দেখা যাক অবস্থা কি হয়।
৫০ শতাংশ লোকবল দিয়ে সরকারি অফিস চালানোর কথা বলা হলেও সচিবালয়ের সব দফতর খোলা এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, আমরা তাদের বলে দিয়েছি, তাদের কমফোর্ট অনুযায়ী কমানোর জন্য। দরকারি কাজ চালানোর জন্য যতটুকু দরকার ততটুকুই থাকবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও বলেন, দেখি সাত দিন পর কী অবস্থা হয়। বৃহস্পতিবার আমরা রিভিউ করব ইনশাআল্লাহ। মানুষকে তো কোঅপারেট করতে হবে। সবাই যদি মাস্ক পরে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে, তবে তো অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।
পরিস্থিতি বর্তমানের মতো থাকলে লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হবে কিনা জানতে চাইলে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘দেখি, আমরা বৃহস্পতিবার বসব।’
করোনা সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় নিয়ন্ত্রণে চূড়ান্ত পদক্ষেপ হিসেবে তা নিয়ন্ত্রণে সোমবার সকাল ছয়টা থেকে এক সপ্তাহের জন্য শুরু হচ্ছে লকডাউন। আগামী ৭ দিন এটি কার্যকর থাকবে।
এ সময় মানুষের কাজ ও চলাচল কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। জরুরি সেবা ছাড়া প্রায় সবকিছুই বন্ধ থাকবে। চলবে না কোনো গণপরিবহন। অভ্যন্তরীণ পথে উড়বে না উড়োজাহাজও।
তবে লকডাউনের মধ্যেও জরুরি কাজের জন্য সীমিত পরিসরে অফিস খোলা থাকছে। এ ক্ষেত্রে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে নিজস্ব ব্যবস্থায় কর্মীদের অফিসে আনা-নেওয়ার ব্যবস্থা করতে বলেছে সরকার। একইভাবে শ্রমিকদের আনা-নেওয়ার শর্তে শিল্পকারখানা ও নির্মাণকাজ চালু রাখা যাবে।
এ রকম নানা বিধিনিষেধ আরোপ করে গতকাল রোববার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। অবশ্য প্রজ্ঞাপনে লকডাউন শব্দ ব্যবহার করা হয়নি।
প্রকৌশল নিউজ/এমএস