‘বিধি-নিষেধের মধ্যে কলকারখানা চালু রাখা হলে আইনানুগ ব্যবস্থা’


প্রকৌশল নিউজ ডেস্ক :
‘বিধি-নিষেধের মধ্যে কলকারখানা চালু রাখা হলে আইনানুগ ব্যবস্থা’
  • Font increase
  • Font Decrease

বর্তমানে কঠোর বিধি-নিষেধের মধ্যে কলকারখানা চালু রাখা হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। এ মুহূর্তে পোশাক কারখানা খোলার কোনো চিন্তা-ভাবনা নেই বলেও জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।

সোমবার (২৬ জুলাই) সচিবালয়ে ভার্চ্যুয়াল মন্ত্রিসভায় বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।  

বিধি-নিষেধের মধ্যেও অনেক কলকারখানা চালু এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, কেউ খুলে থাকলে তা পর্যবেক্ষণ করছি, কারা খুলছে? যদি খুলে থাকে, প্রমাণ পাওয়া যায়, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, রাস্তায় যখন মানুষ নামছে, তখন বলছে আমার চাকরিতে যেতে হচ্ছে। আসলে এটার সত্যতা যাচাই করার চেষ্টা করছি। তারা যে সমস্ত নাম বলছে, সেগুলো চেক করার চেষ্টা করছি।

মালিকরা গার্মেন্টস খুলে দেওয়ার ব্যাপারে দাবি করেছিল, এ বিষয়ে কোনো আলোচনা আছে কিনা জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ ধরনের কোনো চিন্তা-ভাবনা এখন পর্যন্ত নেই।  

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে কঠোর বিধি-নিষেধের কোনো বিকল্প নেই। করোনা যেভাবে ছড়িয়ে গেছে সে বিষয় নিয়ে আজকে ক্যাবিনেটে আলোচনা হয়েছে।  

মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বিশেষ কোনো নির্দেশনা দিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে ফরহাদ হোসেন বলেন, এটা (করোনা) যে পরিস্থিতিতে ছড়িয়ে গেছে এ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা কঠিনভাবেই তো প্রজ্ঞাপন জারি করেছি। এ ব্রেকটা খুব দরকার। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন আমাদের সংক্রমণ কমানোর জন্য ব্রেক প্রয়োজন। ব্রেকটার জন্য এটাই উপযুক্ত কৌশল, সেটি হচ্ছে বিধি-নিষেধ। সেক্ষেত্রে এটি ৫ আগস্ট পর্যন্ত কার্যকরীভাবে করার একটি নির্দেশনা আছে।  

বিধি-নিষেধ কঠোরতম হওয়ার কথা মাঠে দেখছি না এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যেহেতু গার্মেন্টস ও রপ্তানিমুখী কলকারখানাগুলো বন্ধ রেখেছি, লাখ লাখ শ্রমিক আসা-যাওয়া করতো, সেগুলো কমেছে। এগুলো ছাড়াও আরও বিভিন্ন কারণ আছে, যে কারণে মানুষ বাইরে আসছে। অযৌক্তিক কারণে এলে কিন্তু আইনের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এছাড়া হাসপাতাল থেকে শুরু করে জরুরি সেবার সঙ্গে সম্পৃক্ত মানুষ বাধাহীনভাবে চলাফেরা করতে পারছে।