বিশেষায়িত কর্মসংস্থান করেত পারেল ট্রান্সজেন্ডার ও হিজড়া জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক মুক্তি সম্ভব


প্রকৌশল প্রতিবেদক :
বিশেষায়িত কর্মসংস্থান করেত পারেল ট্রান্সজেন্ডার ও হিজড়া জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক মুক্তি সম্ভব
  • Font increase
  • Font Decrease

ট্রান্সজেন্ডার ও হিজড়া জনগোষ্ঠীর জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্প করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, একই সঙ্গে বিশেষায়িত স্কুল ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির ব্যবস্থা করলেই এই জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক মুক্তি ঘটবে বলে মন্তব্য করেছেন এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক কে. এম. তারিকুল ইসলাম (অতিরিক্ত সচিব)। বন্ধু সোস্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি (বন্ধু) আয়োজিত এক হাজার ট্রান্সজেন্ডার ও হিজড়া জনগোষ্ঠীর মাঝে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করে এ সব কথা বলেন তিনি।

বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর একটি কমিউনিটি সেন্টারে এই ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলার সহকারি কমিশনার মারুফা সুলতানা খান হীরামনি এবং সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. ঝুমানা আশরাফী সুইটি।

এনজিও ব্যুরোর মহাপরিচালক বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে থাকা হিজড়া জনোগোষ্ঠীর প্রতি যদি মমত্ববোধ প্রকাশ করতে না পরলে সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম সম্পূর্ণ হবেনা। এই জনগোষ্ঠীর মানুষ যেনো কর্মের মাধ্যমে আয় করতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গিকার বাস্তবায়নে সরকার এই জনগোষ্ঠীর জন্য কাজ করছে বলেও জানান তিনি।

তৃতীয় ধাপে ব্যক্তিপর্যায় ও বিভিন্ন দাতা সংস্থার সহায়তায় সারাদেশের এক হাজার ট্রান্সজেন্ডার ও হিজড়া জনগোষ্ঠীকে ত্রাণ সহায়তা দিচ্ছে বন্ধু। ত্রাণ হিসেবে ১০ কেজি চাল, ৫ কেজি আলু, ১ কেজি করে ডাল, লবন, তেল, একটি সুগন্ধি সাবন এবং মাস্ক দেওয়া হচ্ছে। বিগত এক বছরে বিভিন্ন দাতা সংস্থার আর্থিক সহায়তা ও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে মোট ১৩ হাজার ৬২৮জন ট্রান্সজেন্ডার ও হিজড়া জনগোষ্ঠীর হাতে ত্রাণ, আর্থিক প্রণোদনাসহ জরুরী স্বাস্থ্য-নিরাপত্তা সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছে বন্ধু। আর বন্ধু’র পরোক্ষ সহযোগিতায় ত্রাণ ও জরুরী স্বাস্থ্য-নিরাপত্তা সামগ্রী পেয়েছে আরো ১০ হাজার ৫০০জন কমিউনিটি সদস্য।

দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে ট্রান্সজেন্ডার ও হিজড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন, স্বাস্থ্যসেবা ও অধিকার রক্ষায় কাজ করছে বন্ধু সোস্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি (বন্ধু)।