ভোমরা স্থল বন্দরে স্বাস্থ্যবিধির কোন বালাই নেই

দেশে করোনা পরিস্থিতিতে পণ্য সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা এবং দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রনের লক্ষ্যে স্থল বন্দরগুলোর আমাদানী-রপ্তানী কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখা হয়েছে। কিন্তু সাতক্ষীরার ভোমরা স্থল বন্দরে আমাদানী-রপ্তানী কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকলেও স্বাস্থ্যবিধি না মানায় করোনা সংক্রমণের ঝুকির মধ্যে রয়েছে বন্দর সংশ্লিষ্টরা। প্রতিদিন ভারত থেকে আসা শত শত ট্রাক চালক ও হেলপার বন্দরের অভ্যন্তরে ঢুকে যথেচ্ছা ঘুরাঘুরি করায় আতংকিত হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী। স্বাস্থ্যবিধি না মানায় বন্দর কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাকে দায়ী করেছেন ব্যবসায়ী ও শ্রমিকসহ বন্দরে নিয়োজিতরা।

ভোমরা স্থল বন্দরে স্বাস্থ্যবিধির কোন বালাই নেই

স্বাস্থ্য বিধির তোয়াক্কা না করে আমদানি রপ্তানী চলমান থাকায় ভোমরা বন্দর সংশ্লিস্টরা রয়েছে করোনা সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিতে। বিশেষ করে করোনার ইন্ডিয়ান ভ্যারিয়েন্টস নিয়ে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা যেখানে উদ্বিগ্ন সেখানে সেই ভ্যারিয়েন্টের প্রবেশ সম্ভাবনা এই বন্দরে মানা হচ্ছে না কড়াকড়ি স্বাস্থ্যবিধি।

প্রতিদিন ভারত থেকে আসা শত শত ট্রাক চালক ও হেলপার বন্দরের অভ্যন্তরে ঢুকে যথেচ্ছা ঘুরাঘুরি করায় আতংকিত হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী। স্বাস্থ্যবিধি না মানায় বন্দর কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাকে দায়ী করেছেন ব্যবসায়ী ও শ্রমিকসহ বন্দরে নিয়োজিতরা।

তথ্যানুসন্ধ্যানে জানা গেছে, দেশের অন্যান্য বন্দরের ন্যায় আজ সোমবার থেকে ১৪ দিনের জন্য ভোমরা স্থল বন্দরে যাত্রী চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হলেও চরম উদাসীনতায় চলছে আমদানী-রপ্তানী কার্যক্রম।

ভারত থেকে প্রতিদিন বিভিন্ন পণ্যনিয়ে তিন শতাধিক ট্রাক ঢুকছে বাংলাদেশে। ভারত থেকে আসা এসব ট্রাকের কোনো সেনিটাইজ করা হচ্ছেনা। এমনকি ট্রাকের চালক ও হেলপারেদের কোনো ধরনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়াই প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে।

এ সমস্ত ট্রাক চালকরা বন্দরের মধ্যে ট্রাক রেখে অবাধে ঘুরছে যত্রতত্র। খাওয়া দাওয়া করছে স্থানীয় হোটেলগুলোতে। আর কোনো ধরনের স্বাস্থ্যবিধি অনুসরন না করেই এসব ট্রাক থেকে মালামাল নামাচ্ছে স্থানীয় শ্রমিকরা। ফলে করোনা ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে শ্রমিকসহ ব্যবসায়িরা।

তবে এসবের দায় নিতে রাজি হচ্ছেনা কোনো বিভাগই। কোনো ধরনের স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ না করেই কার্যক্রম পরিচালনা করায় চরম ঝুকির মধ্যে পড়েছে বন্দর ব্যবহারকারী ও স্থানীয়রা। 

শ্রীঘ্রই দেশের সর্বদক্ষিনের জনপদ ভোমরা স্থল বন্দরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভারতের সাথে আমদানী-রপ্তানী কার্যক্রম পরিচালনা না করলে করোনা সংক্রমণ দেশব্যাপী আরো বেড়ে যাওয়ার আশংকা করছে সাতক্ষীরাবাসী।