অনির্দিষ্টকালের জন্য তেল রপ্তানি বন্ধ করলো রাশিয়া
অনির্দিষ্টকালের জন্য ডিজেল ও গ্যাসোলিন রপ্তানি বন্ধ করলো রাশিয়া। তবে বেলারুশ, কাজাখস্তান, আর্মেনিয়া ও কিরগিজস্তান এই নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবে। এই চারটি দেশই মস্কোর নেতৃত্বাধীন ইউরেশিয়ান ইকোনমিক ইউনিয়নের সদস্য।
গত বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রুশ প্রধানমন্ত্রী মিখাইল মিশুস্তিনের সই করা এক ডিক্রিতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ক্রেমলিন বলছে, অভ্যন্তরীণ বাজারে তেলের দাম স্থিতিশীল করতেই ‘সাময়িক’ রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
রাশিয়ার জ্বালানি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই বিধিনিষেধে একই সঙ্গে দেশের বাজার থেকে মোটরগাড়ির জ্বালানির চোরাকারবারি রোধেও সহায়ক হবে।
রাশিয়ার উপ-জ্বালানিমন্ত্রী পাভেল সরোকিন জানিয়েছেন, এই নিষেধাজ্ঞা অনির্দিষ্টকালের জন্য। কত দিন এই নিষেধাজ্ঞা বজায় থাকবে, তা নির্ভর করছে কত দিনে দেশের জ্বালানি বাজার স্থিতিশীল হয়। ‘আমরা আশা করছি, বাজারে শিগগিরই এই বিধিনিষেধের ইতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করবে। তবে তার পরও কখন বাজার স্থিতিশীল হয়, তার ওপর নির্ভর করবে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার বিষয়টি।’
বিগত কয়েক মাস ধরেই রাশিয়ায় পেট্রল ও ডিজেলের সংকট চলছে। ফলে দেশটিতে জ্বালানির দামও বেড়েছে। পাইকারি ও খুচরা উভয় পর্যায়েই জ্বালানির দাম বেড়েছে। বিষয়টি রাশিয়ার প্রেইরি অঞ্চলের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। কারণ এই অঞ্চলে খাদ্য-শস্য সংগ্রহের জন্য ব্যাপক জ্বালানি প্রয়োজন। পাশাপাশি আগামী বছরের মার্চে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নির্বাচনের ক্ষেত্রে এই সংকট পুতিন ও ক্রেমলিনের জন্য একটি বিশ্রী সংকট হিসেবে দেখা দিতে পারে।
বিশ্বে ডিজেল ও গ্যাসোলিনের বৃহত্তম এবং অপরিশোধিত তেলের অন্যতম প্রধান সরবরাহকারী রাশিয়া। ফলে ক্রেমলিনের এই নিষেধাজ্ঞায় বৈশ্বিক জ্বালানি বাজারে অস্থিরতা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
রাশিয়ার নিষেধাজ্ঞার খবর ছড়িয়ে পড়ার পরপরই বৃহস্পতিবার বিশ্ববাজারে তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি এক ডলার বেড়ে গিয়েছিল।
শুক্রবার বিকেলে লন্ডনে অপরিশোধিত তেলের আন্তর্জাতিক বেঞ্চমার্ক ব্রেন্টের দাম ০.৯ শতাংশ বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ৯৪ দশমিক ১৩ ডলারে লেনদেন হয়েছে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) দাম ১ দশমিক ১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯০ দশমিক ৬২ ডলারে।