হালকা যানের লাইসেন্সে বাস চালাচ্ছিলেন ‘আজমেরীর চালক’
রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকায় মোটরসাইকেল আরোহী স্বামী-স্ত্রীর বাসচাপায় নিহতের ঘটনায় ঘাতক বাস আজমেরী পরিবহনের চালক তসিকুল ইসলামকে (২৮) সোমবার মধ্যরাতে গাজীপুর থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এ ঘটনায় বাসটির হেলপার ও কন্ডাক্টর পলাতক রয়েছেন।
রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকায় মোটরসাইকেল আরোহী স্বামী-স্ত্রীর বাসচাপায় নিহতের ঘটনায় ঘাতক বাস আজমেরী পরিবহনের চালক তসিকুল ইসলামকে (২৮) সোমবার মধ্যরাতে গাজীপুর থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এ ঘটনায় বাসটির হেলপার ও কন্ডাক্টর পলাতক রয়েছেন।
মঙ্গলবার সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অভিযানের নেতৃত্বদানকারী কর্মকর্তা সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘নিজস্ব গোয়েন্দাদের তথ্য, প্রথাগত ও প্রযুক্তিগত তদন্তের ভিত্তিতে তার অবস্থান শনাক্ত করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে চালক দাবি করে, মোটরসাইকেলটি হঠাৎ তার সামনে আসে, কুয়াশার কারনে সে মোটরসাইকেলকে দেখতে না পারায় চাপা লেগে যায়।’
এ ঘটনায় হেলপার ও কন্ডাক্টর পলাতক রয়েছেন, তাদের ধরতে অভিযান চলছে বলে জানান মুক্তা ধর।
এ বিষয়ে সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ ওমর ফারুক জানান, এ ঘটনায় বিমানবন্দর থানায় একটি মামলা হয়েছে। থানা পুলিশ এই মামলার তদন্ত করছে পাশাপাশি সিআইডিও ছায়া তদন্ত করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। শেখ ওমর বলেন, চালক চাপা দেয়ার কথা স্বীকার করেছে। আমরা তদন্ত করছি। তদন্তে বিস্তারিত উঠে আসবে।
এদিকে, সিআইডি কার্যালয়ে ছবি তোলার সময় সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন চালক তসিকুল। তার লাইসেন্স আছে কি-না জানতে চাইলে চালক বলেন, আমার হালকা যান চালানোর লাইসেন্স আছে। ১০ বছর ধরে এই লাইসেন্স দিয়েই আমি গাড়ি চালাচ্ছি। সাধারণত বাস ও ট্রাক চালকদের পেশাদার ও ভারি যান চালানোর লাইসেন্স নিতে হয়।
সিআইডি জানায়, চালক তসিকুল ইসলামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শেরপুর গ্রামে।
এর আগে, সোমবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকায় যাত্রীবাহী বাসের চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী স্বামী-স্ত্রী স্বামী আকাশ ইকবাল (৩৩) ও মায়া হাজারিকা (২৫) নিহত হন। বিমানবন্দর এলাকার পদ্মা ওয়েল গেটের পাশে এ ঘটনা ঘটে। তাদের বাসা দক্ষিণখানের মোল্লারটেক এলাকায়। এ দম্পতির আরফা আনজুম নামের চার বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।