আমাকে কুৎসিত বলা হয়েছিলো, রেগে গেলেন রাখি
বিগবস-১৪’তে ফিরে আসাকে নিজের কেরিয়ারের নতুন দিক বলেই ভাবতে ভালোবাসেন বলিউডের মির্চিগার্ল রাখি সাওয়ান্ত। কারণ বিনোদন জগৎ থেকে তো হারিয়ে যেতে বসেছিলেন রাখি । বিগবস ফের যেন পুরোনো স্বাদ ফিরে পেলেন তিনি।
বিগবস-১৪’তে ফিরে আসাকে নিজের কেরিয়ারের নতুন দিক বলেই ভাবতে ভালোবাসেন বলিউডের মির্চিগার্ল রাখি সাওয়ান্ত। কারণ বিনোদন জগৎ থেকে তো হারিয়ে যেতে বসেছিলেন রাখি। বিগবস ফের যেন পুরোনো স্বাদ ফিরে পেলেন তিনি।
সম্প্রতি টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাখি সোজাসুজি মুখ খুললেন নিজের গোটা জীবনের স্ট্রাগল নিয়ে।
রাখি জানান, আমি তো কেঁদেই চলেছি। না দুঃখের কান্না নয় বরং এটা খুশির চোখের জল। আসলে আবার আমি সবার কাছ থেকে এতোটা ভালোবাসা পাবো, তা ভাবতেই ভালো লাগছে।
অভিনেত্রীর কথায়, বরাবরই আমি মানুষের থেকে ঘেন্না, বিদ্রুপ পেয়ে এসেছি। লোকে আমাকে নিয়ে খারাপ কথা বলতো। আমি ইংরেজি বলতে পারি না, তা নিয়েও নানা কু মন্তব্য করা হতো। আমাকে কখনো কুৎসিত, কখনো মোটা বলে অপমান করা হতো। কিন্তু সেসব কথাকে আমি কেরিয়ারের চ্যালেঞ্জ হিসেবেই নিয়েছি। তাই তো এখনো টিকে রয়েছি। তবে কথাগুলো ভুলিনি। সেগুলোকে সঙ্গে নিয়েই এগিয়ে চলেছি। তবে কিছু মানুষ বাজে কথা বললেও, বহু মানুষের ভালোবাসাও পেয়েছি। এটাই বড় প্রাপ্তি।
রাখির মায়ের চিকিৎসার জন্য আর্থিক সাহায্য করলেন সালমান খান ও তার ভাই সোহেল খান। রাখির মা ক্যান্সারে আক্রান্ত। প্রায় ৪ বার কেমোথেরাপি হয়েছে তার। চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন প্রচুর অর্থ।
রাখি আগেই জানিয়েছেন, মায়ের চিকিৎসা করার জন্যই বিগবসে এসেছিলেন তিনি। বিগবস থেকে পাওয়া অর্থেই মায়ের চিকিৎসা করবেন। একথা শুনেই সালমান এগিয়ে এলেন সাহায্য করতে। সালমান এবং সোহেলের এগিয়ে আসার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন রাখীর মা।
কেউ বিগবসে আসেন জনপ্রিয় হতে। কেউ আসেন শুধু খেলাটি খেলবে বলে। আর কেউ আসেন একেবারেই টাকার দরকারে। রাখি এই শেষের দলেই পড়েন। রাখি বলিউডের মির্চি গার্ল। মুখ খুললেই বিতর্ক। রাখি সেটা জানেনও। তাই যাই ঘটুক না রাখি কিন্তু বিন্দাস ঢুকে পড়েন বিতর্কে। পুরো দায়িত্ব নিয়েই।
তবে এবারের গল্প রাখির বিতর্কের নয়, বিগবস-১৪’তে হেরে গিয়ে রাখি একবারের জন্য দুঃখিত নয়। বরং তিনি খুশি ১৪ লাখ টাকা উপহার নিয়েই।
রাখি জানিয়েছেন, গোটা বিগবসের জার্নি নিয়ে আমি দারুণ খুশি। শেষপর্যন্ত কেন আমি থাকিনি, কেন আমি জিতলাম না, তা নিয়ে একটুও দুঃখ নেই আমার। কারণ, আমার যতোটা টাকা প্রয়োজন ছিলো, ততোটা আমি পেয়ে গিয়েছি।
তিনি আরো জানিয়েছেন, আসলে আমার মা, আমার কাছে গোটা বিশ্ব। মাকে প্রাণে বাঁচাতে হবে। বিগবস থেকে পাওয়া এই ১৪ লাখ টাকা আমার মায়ের কেমোথেরাপিতে লেগে যাবে। এটাই আমার কাছে সবচেয়ে বড় পুরস্কার।
প্রকৌশল নিউজ/এমআরএস