আশুগঞ্জ নদী বন্দর একটি ল্যান্ডমার্ক : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি বলেছেন, ‘আশুগঞ্জ অভ্যন্তরীণ কন্টেইনার নদী বন্দর স্থাপন’ প্রকল্পটি একটি ল্যান্ডমার্ক প্রকল্প। এ প্রকল্পটির দ্রুত বাস্তবায়ন জরুরি। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বন্ধুত্বের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।

আশুগঞ্জ নদী বন্দর একটি ল্যান্ডমার্ক : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি বলেছেন, ‘আশুগঞ্জ অভ্যন্তরীণ কন্টেইনার নদী বন্দর স্থাপন’ প্রকল্পটি একটি ল্যান্ডমার্ক প্রকল্প। এ প্রকল্পটির দ্রুত বাস্তবায়ন জরুরি। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বন্ধুত্বের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।
 
প্রতিমন্ত্রী আজ দিনাজপুরের বোচাগঞ্জস্থ বাসভবন থেকে জুমে (অনলাইন প্লাটফর্ম) “আশুগঞ্জ অভ্যন্তরীণ কন্টেইনার নদী বন্দর স্থাপন প্রকল্প’’ এর বিশদ নকশার খসড়া প্রতিবেদনের বিষয়ে আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী, ভারতের এক্সটার্ণাল এফেয়ার্স মিনিস্ট্রির উন্নয়ন অংশীদারিত্ব প্রশাসন-১ এর উপদেষ্টা (অবকাঠামো) পঙ্কজ কুমার সিং। বিআইডব্লিউটিএ, ভারতীর হাইকমিশন, এক্সিম ব্যংক ইন্ডিয়া, নৌপরিবহন মন্ত্রাণালয় ও অন্যান্য মন্ত্রাণালয়  ও সংস্থার প্রতিনিধিগণ, টাটা কনসালটিং ইঞ্জিনিয়ার্স ও ডিপিসিজি’র পরামর্শকগণ ভার্চুয়াল সভায় অংশ নেন। 

প্রতিমন্ত্রী প্রকল্পটি বাস্তবায়নে এগিয়ে আসার জন্য ভারত সরকার ও এক্সিম ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান।

উল্লেখ্য, অভ্যন্তরীণ নৌপথের মাধ্যমে চট্টগ্রাম, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসহ অভ্যন্তরীণ নদী বন্দর হতে কন্টেইনার আসা যাওয়ার সুবিধা সৃষ্টি; কর্গো পরিবহনের সুবিধার্থে মাল্টি পারপাস জেটিসহ ট্রানজিট সেড নির্মান; নদী পথে আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক ব্যবসা বাণিজ্যকে সমৃদ্ধশালী ও প্রসার ঘটানোর লক্ষ্যে “আশুগঞ্জ অভ্যন্তরীণ কন্টেইনার নদী বন্দর স্থাপন” করা হচ্ছে।  

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) প্রকল্পটির  বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে ১,২৯৩ কোটি টাকা। স্থানীয় মুদ্রা ৮৬২ কোটি এবং প্রকল্পে সাহায্য ৪৩১ কোটি টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ব্যক্তি মালিকানাধীন ২৫.৬০৫ একর এবং আশুগঞ্জ সার কারখানার ৬.১৭ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। প্রকল্পটির পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসাবে TATA Consulting Engineers Limited and DPC Group of Consultant JV (TCE & DPCG JV) কে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে Draft Detail Design Report, Draft Cost Estimate এবং Draft Contract/Tender Document দাখিল করেছে। যা চূড়ান্তকরণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ অর্থায়নে নির্মিতব্য প্রকল্পটি আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক অর্থনীতিতে আমূল পরিবর্তন সাধন করবে এবং অত্র অঞ্চলের জনগণের আর্থসামাজিক উন্নয়নে বড় ভূমিকা পালন করবে। এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হওয়ার পর শুধু জিডিপি বৃদ্ধিতে সীমাবদ্ধ থাকবে না বরং প্রকল্পের পার্শ্ববর্তী এলাকা তথা নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া, গাজীপুর, ঢাকা, হবিগঞ্জের শিল্পাঞ্চলের শিল্পের কাঁচামাল ও উৎপাদিত পণ্য পরিবহনের ব্যয় হ্রাস এবং প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কর্মসংস্থানসহ, আয় ও বিনিয়োগে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করবে।