বিজিবি’র সকল ইউনিটে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর তাৎপর্যময় মাহেন্দ্রক্ষণে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) প্রতি বছরের ন্যায় এবারও যথাযোগ্য মর্যাদা এবং উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২১ উদযাপন করেছে। 

বিজিবি’র সকল ইউনিটে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর তাৎপর্যময় মাহেন্দ্রক্ষণে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) প্রতি বছরের ন্যায় এবারও যথাযোগ্য মর্যাদা এবং উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২১ উদযাপন করেছে। 

শুক্রবার ২৬ মার্চ সকাল ৬ টা ২০ মিনিটে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে বিজিবি’র সকল ইউনিটে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল ১০ টায় বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোঃ সাফিনুল ইসলাম বিজিবি ঢাকায় কর্মরত বিজিবি’র সকল অফিসার, বেসামরিক কর্মকর্তা, জুনিয়র কর্মকর্তা এবং অন্যান্য পদবীর সৈনিকবৃন্দের উপস্থিতিতে কোভিড-১৯ জনিত স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক ঢাকার পিলখানাস্থ স্মৃতিসৌধ ‘সীমান্ত গৌরব’-এর বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এ সময় বিজিবি’র একটি চৌকস দল ‘গার্ড অব অনার’ প্রদান করে।  

বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের আখাউড়া-আগরতলা, বেনাপোল-পেট্রাপোল ও বাংলাবান্ধা-ফুলবাড়ী আইসিপিসমুহে উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি-বিএসএফ কর্তৃক জমকালো যৌথ ‘রিট্রিট সিরিমনি’ প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত যৌথ ‘রিট্রিট সিরিমনি’ প্যারেডে বিজিবি- বিএসএফ এর কর্মকর্তাবৃন্দ, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং সর্বস্তরের জনগণ দর্শনার্থী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।   

দিবসের অন্যান্য কর্মসূচীর মধ্যে জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি, দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি, মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের আত্মার শান্তি এবং বিজিবি’র উত্তরোত্তর অগ্রগতি কামনা করে বিজিবি’র কেন্দ্রীয় মসজিদে জুম্মার নামাজের পর বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক বিজিবি মহাপরিচালকসহ বিজিবি’র সকল অফিসার, বেসামরিক কর্মকর্তা, জুনিয়র কর্মকর্তা, অন্যান্য পদবীর সৈনিক এবং বেসামরিক কর্মচারীগণ উক্ত মোনাজাতে অংশগ্রহণ করেন।

দুপুরে বিজিবি সদস্যদের মাঝে উন্নত মানের খাবার পরিবেশন করা হয়। বিজিবি’র সকল প্রতিষ্ঠান/সেক্টর/ইউনিটের স্ব স্ব চিত্তবিনোদন কক্ষে বিজিবি সদস্যদের জন্য মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হয় এবং “বঙ্গবন্ধু: ভাষা আন্দোলন থেকে স্বাধীনতা” শীর্ষক রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।

বিকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিজিবি’র বাদক দল কর্তৃক বাদ্য পরিবেশন করা হয়। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে সকাল সাড়ে ৮ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত সকলের জন্য বিজিবি যাদুঘর উন্মুক্ত রাখা হয় এবং বিনা টিকেটে প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয়। সন্ধ্যার পর পিলখানাস্থ গুরুত্বপূর্ণ অফিস ভবন ও গেইটসমূহে আলোকসজ্জা করা হয়।  

উল্লেখ্য, মহান স্বাধীনতা দিবস এর আগের দিন অর্থাৎ ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস উদযাপন উপলক্ষে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে বর্বর পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর জঘন্যতম নারকীয় গণহত্যাকান্ডে নিহত শহীদদের স্মরণ ও তাঁদের আত্মার শান্তি কামনা করে মাগরিবের নামাজের পর বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয় এবং রাত ৯ টা থেকে ৯.১ ঘটিকা পর্যন্ত ১ মিনিট বিজিবি সদর দপ্তরসহ সকল ইউনিটে প্রতীকী ‘ব্ল্যাক আউট’ কর্মসূচী পালন করা হয়।                           

প্রকৌশল নিউজ/এমআরএস