ইসরায়েলি কোম্পানি এনএসও-এর বিরুদ্ধে অ্যাপলের মামলা
আইফোন ও অন্যান্য ডিভাইসে গোপনে সফটওয়্যার বসিয়ে তথ্য সংগ্রহের অভিযোগে পেগাসাস স্পাইওয়্যারের প্রস্তুতকারী ইসরায়েলি কোম্পানি এনএসও’র বিরুদ্ধে মামলা করেছে অ্যাপল। মামলার মাধ্যমে অ্যাপল তাদের আইফোনে প্যাগাসাসের গোপন হস্তক্ষেপ স্থায়ীভাবে বন্ধ করতে আদালতের নির্দেশ চাইছে।
আইফোন ও অন্যান্য ডিভাইসে গোপনে সফটওয়্যার বসিয়ে তথ্য সংগ্রহের অভিযোগে পেগাসাস স্পাইওয়্যারের প্রস্তুতকারী ইসরায়েলি কোম্পানি এনএসও’র বিরুদ্ধে মামলা করেছে অ্যাপল। মামলার মাধ্যমে অ্যাপল তাদের আইফোনে প্যাগাসাসের গোপন হস্তক্ষেপ স্থায়ীভাবে বন্ধ করতে আদালতের নির্দেশ চাইছে।
মঙ্গলবার ক্যালিফোর্নিয়ার মার্কিন ফেডারেল আদালতে এই মামলা দায়ের করা হয়। এর মাধ্যমে ১০০ কোটি আইফোন ব্যবহারকারী যেন এনএসও গ্রুপের টার্গেট থেকে মুক্ত থাকে তার নিশ্চয়তা চাইছে অ্যাপল।
বুধবার এনডিটিভির খবরে বলা হয়, পেগাসাস স্পাইওয়্যারের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী হাজার হাজার সাংবাদিক, রাজনীতিক ও বিভিন্ন সংস্থার কর্মীদের ওপর গোয়েন্দাগিরি চালানোর অভিযোগ রয়েছে এর প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এনএসও’র বিরুদ্ধে।
এ নিয়ে বিশ্বজুড়ে কম বিতর্ক হয়নি, যা রেশ এখনও দেশে দেশে রয়ে গেছে। প্রতিবেশি ভারতেও এ সফটওয়্যার ব্যবহার করে গোয়েন্দাগিরি চালানো হয়েছে বলে কয়েকজন রাজনীতিক অভিযোগ করেছেন।
প্যাগাসাস স্পাইওয়্যার বিতর্কের মধ্যে কয়েক সপ্তাহ আগে যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষ ইসরায়েলি কোম্পানি এনএসও-কে কালো তালিকাভুক্ত করে।
বিশ্বখ্যাত আইফোন ব্রান্ড অ্যাপল যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার একটি আদালতে এনএসও’র বিরুদ্ধে মামলাটি করেছে। পরে এক বিবৃতিতে তারা মামলার প্রসঙ্গে বিস্তারিত জানায়।
বিবৃতিতে অ্যাপল জানিয়েছে, ‘অভিযুক্ত এনএসও কুখ্যাত হ্যাকার। একবিংশ শতাব্দীর অনৈতিক কাজ সম্পাদনকারী এই সংস্থাটি অত্যন্ত উন্নতমানের সাইবার নজরদারি যন্ত্রপাতি তৈরি করেছে। যা অপব্যবহারের ইন্ধন জোগায়। গ্রাহকদের ফোনের আরও বেশি অপব্যবহার ও ক্ষতি ঠেকাতে এবং অ্যাপলের সফটওয়্যার, সেবাসমুহ ও ডিভাইস ব্যবহার থেকে বিরত রাখতে এনএসও গ্রুপের ওপর একটি স্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ চাওয়া হয়েছে।’
পেগাসাসের প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এনএসও বরাবরই তাদের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। তারা বলছে, তাদের সফটওয়্যার কেবলমাত্র সন্ত্রাসবাদ ও অন্য অপরাধ ঠেকাতে কর্তৃপক্ষের ব্যবহারের জন্য তৈরি করা হয়েছে।
অ্যাপল জানিয়েছে, বিশ্বে বর্তমানে তাদের ১৬৫ কোটি ব্যবহারকারী রয়েছেন। এর মধ্যে ১০০ কোটির উপরে রয়েছেন আইফোন ব্যবহারকারী।
ক্যালিফোর্নিয়ার আদালতে করা মামলায় অ্যাপল দাবি করেছে, তাদের ১ হাজার ৪০০টি ডিভাইসে গোপনে স্পাইওয়্যার প্রবেশ করিয়ে তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করা হয়েছে।