ধর্ষণ মামলার বাদীর সাত বছর কারাদণ্ড

ধর্ষণ মামলা মিথ্য প্রমাণিত হওয়ায় মামলার বাদীকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৩০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৫ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন জয়পুরহাট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক মো. রোস্তম আলী। মামলার বাদীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ধর্ষণ মামলার বাদীর সাত বছর কারাদণ্ড

ধর্ষণের কোনো ঘটনা ঘটেনি অথচ অন্যের প্ররোচনায় বিবাদীকে ফাঁসাতে গিয়ে নিজেই এখন জেলে। শুনতে অবাক হলেও ঘটনা সত্য। উত্তরাঞ্চলীয় জেলা জয়পুরহাটে এমনটা ঘটেছে। 

ধর্ষণ মামলা মিথ্য প্রমাণিত হওয়ায় মামলার বাদীকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৩০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৫ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন জয়পুরহাট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক মো. রোস্তম আলী। মামলার বাদীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

দণ্ডপ্রাপ্ত বাদী হলেন শ্রীমতী নন্দ রানী । তিনি জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার বিয়ালা গ্রামের বাসিন্দা।

২০১৪ সালের ২১ এপ্রিল রাতে শ্রীমতী নন্দ রানী ধর্ষণের শিকার হন মর্মে ২২ এপ্রিল তিনি নিজেই বাদী হয়ে একই গ্রামের আবুল হায়াতের বিরুদ্ধে কালাই থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন। 

দীর্ঘ তদন্ত শেষে পুলিশ ঘটনাটি মিথ্যা বলে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। আদালতে দেওয়া পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে আদালতে নারাজি দেন মামলার বাদী। আদালত মামলার বাদীর নারাজির আবেদন গ্রহণ করেন। আজ মঙ্গলবার মামলাটির সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ধার্য ছিল। মামলার বাদী শ্রীমতী নন্দ রানী ও আসামি আদালতে স্বশরীরে উপস্থিত ছিলেন।

ধর্ষণ মামলার বাদী শ্রীমতী নন্দ রানী আদালতে উপস্থিত হয়ে বিচারককে বলেছেন, তিনি অন্যের প্ররোচনায় মিথ্যা মামলা করেছিলেন। তখন বিচারক মিথ্যা মামলা করায় বাদীকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৩০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৫ মাসের কারাদণ্ড দেন। বিপরীতে আসামিকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

আগে একই আদালত মিথ্যা ধর্ষণ মামলা করায় তিনটি ধর্ষণ মামলার বাদীকে কারাদণ্ড দিয়েছিলেন। আজকের ঘটনায় এ সংখ্যা দাঁড়াল চারে।