'নওশাবাকে নিলে সমস্যা হবে'

সুন্দরী মডেল ও অভিনেত্রী কাজী নওশাবা একটি মিউজিক্যাল ফিল্ম পরিচালনা করেছেন। ফিল্মটিতে তিনি ‘মা’ নিয়ে কাজ করছেন। অভিনয়ে আত্মনিবেদিত এবং সারাক্ষণ সৃজনশীলতার কাজে নিয়োজিত নিজেকে রেখে তিনি শিল্পকলার বিভিন্ন শাখায় বিচরণ করছেন। তবে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে তার বিরুদ্ধে একটা অদৃশ্য দেওয়াল দাঁড়ানো আছে বলে জানালেন তিনি। উল্লেখ করেন, কেউ যাতে তাকে কাজে না নেন এমন একটা নেটওয়ার্ক প্রতিনিয়তই তার প্রতিপক্ষ হিসেবে কাজ করছে।

'নওশাবাকে নিলে সমস্যা হবে'

সুন্দরী মডেল ও অভিনেত্রী কাজী নওশাবা একটি মিউজিক্যাল ফিল্ম পরিচালনা করেছেন। ফিল্মটিতে তিনি ‘মা’ নিয়ে কাজ করছেন। অভিনয়ে আত্মনিবেদিত এবং সারাক্ষণ সৃজনশীলতার কাজে নিয়োজিত নিজেকে রেখে তিনি শিল্পকলার বিভিন্ন শাখায় বিচরণ করছেন। তবে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে তার বিরুদ্ধে একটা অদৃশ্য দেওয়াল দাঁড়ানো আছে বলে জানালেন তিনি। উল্লেখ করেন, কেউ যাতে তাকে কাজে না নেন এমন একটা নেটওয়ার্ক প্রতিনিয়তই তার প্রতিপক্ষ হিসেবে কাজ করছে।

তিনি বলেন, ‘আমি পান্ডুলিপি পাওয়ার পর সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে কাজ করতে পারিনি। কত কাজ থেকে যে বাদ পড়েছি সেটা বলে বুঝাতে পারব না। এসব কথা আমি কখনও কারো সঙ্গে শেয়ার করি না।’

তিনি বলেন, ‘আমি অনন্য মামুনের কসাই ছবিটি হাতে নেওয়ার পর কয়েকজন ফোন করে তাকে বলেন যাতে আমাকে ছবিটিতে নেওয়া না হয়। আমি নাকি একটা সমস্যা। কিন্তু অনন্য মামুন তাদের বলেছেন, দেখি কি সমস্যা হয়।’

তিনি বলেন, ‘তারা রটিয়ে বেড়াচ্ছে, আমি থাকলে নাকি সেন্সর বোর্ড ছবি আটকিয়ে দেয়। কই কসাই ছবিটিতো সেন্সর হয়েছে, কেউ কিছু বললো না।’ একজন পরিচালক বলেছেন, নওশাবাকে ছবিতে নিয়ে একটি মহলে তাকে যথেষ্ট ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। অনেক জবাবদিহি করতে হয়েছে তাকে।

নওশাবা বলেন, ‘আমি সাইবার ক্রাইম থেকে সব খানেই যোগাযোগ করেছি, সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেছি। কেউ আমার ব্যাপারে একটি নেতিবাচক শব্দও ব্যবহার করেনি। আমি ভারতের ‘হৈচৈ’-এর জন্য কাজ করে এসেছি। কই কেউতো আমাকে বাধা দিল না। গুজব রটিয়ে আমাকে থামিয়ে দেওয়া যাবে না এবং দমে যাওয়ার মতো মেয়ে আমি নই।’

তিনি বলেন, ‘আমাকে এক এক পরিচালক এক এক কথা বলেন। আমি সিনিয়রদের সঙ্গে কথা বলেছি, লিখিতভাবে জানারও চেষ্টা করেছি।

কেউ রেস্পন্স করে না। উল্টো তারা আমাকে বলে তুমি এতো ভালো অভিনেত্রী তুমি তো আরও বড় জায়গায় থাকার কথা।’ তিনি বলেন, ‘আসল সমস্যা হলো সবাই জেনে গেছে আমার কোনো গডফাদার নেই। সবাই তার ফায়দা নিতে চায়। নানা কথা বলে আমাকে এমন পারিশ্রমিক অফার করা হয়, যা একজন জুনিয়র শিল্পীর চাইতেও কম।’ এসব সীমাবদ্ধতার মধ্যেই কাজী নওশাবা পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন।

প্রকৌশল নিউজ/এমআরএস