দুদকের মামলায় দণ্ড, স্ত্রীর নামের বাড়ি বাজেয়াপ্ত

দুদকের মামলায় দণ্ড, স্ত্রীর নামের বাড়ি বাজেয়াপ্ত

দুর্নীতির মামলা প্রমাণিত হওয়ায় বরিশালে সড়ক ও জনপথ বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী কার্যালয়ের অফিস সহকারী কাম মুদ্রাক্ষরিক সেলিম হাওলাদারকে ৫ বছরের কারাদণ্ড এবং ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন আদালত।

সেই সাথে আদালত তার নগরীর আলেকান্দায় ১১ শতাংশ জমিতে সেলিমের স্ত্রীর নামে নির্মিত চারতলা বাড়ি (হোল্ডিং নম্বর ৪১৩) রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার আদেশ দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার বরিশাল বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মহসিনুল হক দুপুরে আসামি সেলিমের উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী হারুন-অর রশিদ জানান, সেলিম হাওলাদারের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রয় করে অর্থদণ্ডের টাকা আদায় করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়া এবং তার স্ত্রীর নামে নির্মাণ করা একটি চারতলা বাড়ি বাজেয়াপ্ত করার জন্য জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দেন আদালত।

বরিশাল আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর(পিপি) মাছুদুল হক খান জানান, সেলিমের বিরুদ্ধে ২০১১ সালের ১৮ এপ্রিল কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন দুদকের সহকারী পরিচালক ওয়াজেদ আলী গাজী। মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, সেলিমের কাছে দুদক স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির হিসাব চেয়ে নোটিশ জারি করলে ২০০৯ সালের ৩ ডিসেম্বর হিসাব বিবরণী দাখিল করেন তিনি। হিসাব বিবরণীতে আলেকান্দা মৌজায় ১১ শতাংশ জমিতে নির্মিত ৪ তলা বাড়ির খরচ দেখানো হয় ২৭ লাখ ২৭ হাজার ২ শ’১৫ টাকা। তবে হিসাব বিবরণী যাচাই করতে গিয়ে দুদক ২০১০ সালের ১ মার্চ বাড়িটি পরিমাপ করে এর নির্মাণ ব্যয় ৬৭ লাখ ৬৮ হাজার ৭শ’৩৫ টাকার প্রতিবেদন দেয়।

হিসাব বিবরণীতে ৩৪ লাখ ৪১ হাজার ৫ শ’ ২০ টাকার গড়মিল পায় দুদক। এছাড়া ১৯৭৯ সালের ৮ মার্চ থেকে ২০১০ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত আয়-ব্যয় বিবরণী যাচাই করে দুদক কর্মকর্তারা সেলিমের জ্ঞাত আয় বহির্ভূত ২২ লাখ ৭৩ হাজার ৫ শ’৯৮ টাকার প্রমাণ পায়।

২০১৫ সালের ১৯ মে দুদকের সহকারী পরিচালক তানভীর আহমদ সেলিমের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরে আদালত ৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বিচারক ওই দণ্ডাদেশ দেন। রায় ঘোষণার পরপরই আসামি সেলিম হাওলাদারকে কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।