ঈদে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, বিপণী বিতান ও আবাসনের নিরাপত্তায় ডিএমপির নির্দেশনা
আগামীকাল বুধবার ২১ জুলাই (১০ জিলহজ ১৪৪২ হিজরী) দেশে মুসলমানদের দ্বিতীয় বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদ–উল-আযহা বা কোরবানির ঈদ উদযাপিত হবে। আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-আযহা ২০২১ উৎসবমুখর ও নিরাপদ পরিবেশে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। কোরবানীর পশুর হাট সমূহের ব্যবস্থাপনা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ ঢাকা মহানগরীর সকল বিপনী বিতান, ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান/ব্যক্তির টাকা লেনদেন ও পরিবহনে মানি এস্কর্ট ব্যবস্থা প্রবর্তন, সকল লঞ্চ ও বাস টার্মিনাল কেন্দ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
আগামীকাল বুধবার ২১ জুলাই (১০ জিলহজ ১৪৪২ হিজরী) দেশে মুসলমানদের দ্বিতীয় বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদ–উল-আযহা বা কোরবানির ঈদ উদযাপিত হবে। আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-আযহা ২০২১ উৎসবমুখর ও নিরাপদ পরিবেশে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। কোরবানীর পশুর হাট সমূহের ব্যবস্থাপনা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ ঢাকা মহানগরীর সকল বিপনী বিতান, ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান/ব্যক্তির টাকা লেনদেন ও পরিবহনে মানি এস্কর্ট ব্যবস্থা প্রবর্তন, সকল লঞ্চ ও বাস টার্মিনাল কেন্দ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
বিগত ঈদ-উল-ফিতরে আইন-শৃংঙ্খলা ও নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে ডিএমপি যে সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিল তা সর্বমহলে প্রশংসিত হয়। এরই ধারবাহিকতায় আমরা পবিত্র ঈদ-উল-আযহার বিস্তারিত নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। ডিএমপির জনবল স্বল্পতা থাকা সত্ত্বেও ঈদের ছুটির সময়ে পুলিশী টহল বৃদ্ধিসহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চেকপোস্ট স্থাপন ও গোয়েন্দা কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই রোধে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি পুলিশের গৃহীত পদক্ষেপের পাশাপাশি ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে যদি নিরাপত্তা সচেতনতাবোধ তৈরী হয় তাহলে পুলিশ এবং ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান এর যৌথ উদ্যোগ ও অংশগ্রহণে সার্বিক আইন-শৃংঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন ও অপরাধ দমনে অনেক বেশি সফল হওয়া সম্ভব। সে লক্ষ্যকে সামনে রেখে আসন্ন ঈদে আপনার প্রতিষ্ঠান/বিপনী বিতান/আবাসনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পুলিশ কর্তৃক গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থার পাশাপাশি নিম্নোক্ত নির্দেশনাসমূহ অনুসরণ করার জন্য ঢাকা মহানগরবাসীকে বিনীতভাবে অনুরোধ করা হলোঃ
১। নিজস্ব প্রতিষ্ঠান/আবাসন/এ্যাপার্টমেন্ট/বিপনী বিতানসমূহে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত সিকিউরিটি গার্ডের ডিউটি জোরদার করা এবং যে কোন ধরনের অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে দিবারাত্র ২৪ ঘন্টা নজরদারির ব্যবস্থা রাখা। উক্ত সিকিউরিটি গার্ডের ডিউটি তদারক করার জন্য মার্কেট মালিক সমিতি/ ফ্ল্যাট ওনার্স এ্যাসোসিয়েশন ইত্যাদি কর্তৃক তদারকি কমিটি করে দিবারাত্র ২৪ ঘন্টা পালাক্রমে উক্ত কমিটি দায়িত্ব পালন করবেন।
২। দায়িত্বরত নিরাপত্তা কর্মীদের ব্যক্তিগত প্রাক-পরিচিতি পুলিশের মাধ্যমে যাচাই করার ব্যবস্থা করা।
৩। প্রতিষ্ঠান/বিপনী বিতান/ আবাসনে সিসিটিভি স্থাপন করুন। সিসিটিভিসহ অন্যান্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা সক্রিয় থাকার বিষয়টি নিয়মিত নিশ্চিত করুন।
৪। সিসি ক্যামেরার ক্ষেত্রে ধারণকৃত ভিডিও হার্ড ডিস্কে ঠিকমত রেকর্ড হচ্ছে কিনা তা নিয়মিত পরীক্ষা করুন।
৫। প্রতিষ্ঠানের সকল কর্মকর্তা/কর্মচারীকে একসাথে ছুটি প্রদান না করে একটি অংশকে দায়িত্ব পালনে নিয়োজিত রাখা যাতে করে তারা প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা তদারকি করতে পারেন।
৬। দায়িত্বরত গার্ড এবং প্রতিষ্ঠানের কাছে নিকটস্থ থানা, সংশ্লিষ্ট থানার অফিসার ইনচার্জ এবং পুলিশ কন্ট্রোলরুমের মোবাইল এবং ল্যান্ড ফোনের নম্বর রাখা, যাতে যে কোন দুর্ঘটনা/অপরাধ সংঘটনের আশংকা তৈরী হলে দ্রুত পুলিশকে অবহিত করুন।
৭। মূল্যবান সামগ্রী যেমন স্বর্ণালংকার, দলিল, অর্থ ইত্যাদি নিরাপদ হেফাজতে রাখুন এবং তালাবদ্ধ করুন। কাছের আত্মীয় স্বজনের কাছে রাখুন অথবা ব্যাংক লকারের সহায়তা নিন।
৮। বাসা/বাড়ি ত্যাগের পূর্বে রুমের দরজা-জানালা সঠিকভাবে তালাবদ্ধ করুন। যে সমস্ত দরজা-জানালা দুর্বল অবস্থায় আছে তা মেরামতের মাধ্যমে সুরক্ষিত করে নিন। প্রয়োজনে একাধিক তালা ব্যবহার করুন।
৯। বাসা/বাড়ি ত্যাগের পূর্বে যে সমস্ত প্রতিবেশী/পাশের ফ্ল্যাটের অধিবাসী ঢাকায় অবস্থান করবেন তাদেরকে আপনার বাসার প্রতি লক্ষ্য রাখতে অনুরোধ করুন এবং ফোনে তাদের সাথে যোগাযোগ রাখুন।
১০। আপনার অনুমতি না নিয়ে কেউ যেন বাসায় প্রবেশ করতে না পারে এ বিষয়ে বাড়ির নিরাপত্তাকর্মীকে সতর্ক করুন। নিরাপত্তাকর্মী না থাকলে আগন্তুক এর পরিচয় নিশ্চিত না হয়ে দরজা খুলবেন না।
১১। মহল্লা ও বাড়ির সামনে সন্দেহজনক কাউকে/দুস্কৃতিকারীকে ঘোরাফেরা করতে দেখলে স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ি ও থানাকে অবহিত করুন।
মহামারী করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ঈদ–উল-আযহা উদযাপন করতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ সম্মানিত ধর্মপ্রাণ নাগরিকবৃন্দকে অনুরোধ জানাচ্ছে।
প্রকৌশল নিউজ/এমআরএস