দেশবিরোধী কোনো ষড়যন্ত্র বাংলাদেশ বরদাস্ত করবে না: ওবায়দুল কাদের
বিএনপি সরকারের কোনো উন্নয়ন এবং ভালো কাজ দেখতে পায় না। সরকারের উন্নয়ন বিএনপির চোখে পড়ে না। পাশাপাশি একটি কুচক্রী মহল বিদেশে লবিস্ট নিয়োগ করে বিভিন্ন পর্যায়ের দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। আমরা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলতে চাই, দেশবিরোধী কোনো ষড়যন্ত্র, মুক্তিযুদ্ধবিরোধী কোনো চক্রান্ত বাংলাদেশ বরদাস্ত করবে না। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা তার দাঁত ভাঙ্গা জবাব দিতে প্রস্তুত বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বিএনপি সরকারের কোনো উন্নয়ন এবং ভালো কাজ দেখতে পায় না। সরকারের উন্নয়ন বিএনপির চোখে পড়ে না। পাশাপাশি একটি কুচক্রী মহল বিদেশে লবিস্ট নিয়োগ করে বিভিন্ন পর্যায়ের দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। আমরা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলতে চাই, দেশবিরোধী কোনো ষড়যন্ত্র, মুক্তিযুদ্ধবিরোধী কোনো চক্রান্ত বাংলাদেশ বরদাস্ত করবে না। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা তার দাঁত ভাঙ্গা জবাব দিতে প্রস্তুত বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে রাসেল স্কয়ারে বিএনপির ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি একতরফা প্রহসনের নির্বাচনের প্রতিবাদ সমাবেশে অনলাইনে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি এখন গণতন্ত্রের ত্রাণকর্তা সেজেছে। জনগণের ঐক্যে বিএনপির আস্থা ছিল না, এখনও নেই। নিজেদের স্বেচ্ছাচারী শাসন ব্যবস্থায় তাদের আস্থা। ১৯৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করেছে, বিরোধী দলগুলোর ওপর দমন নিপীড়ন চালিয়েছে। শত শত মা-বোনকে হত্যা এবং ধর্ষণ করেছে।
বিএনপি ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ভোটারবিহীন একদলীয় প্রহসনের নির্বাচন করেছে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলনের ফলে তখন বিএনপি পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়। ১৫ ফেব্রুয়ারি ভোটারবিহীন নির্বাচন বাংলাদেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত হয়ে আছে। এ ভোটারবিহীন নির্বাচন দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে কলঙ্কিত অধ্যায়। ভোটারবিহীন নির্বাচন করে বিএনপি এখন গণতন্ত্রের ফেরিওয়ালা সেজেছে, যোগ করেন তিনি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আজকের বাংলাদেশ যখন প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এগিয়ে চলেছে, তখনই দেশবিরোধী একটি মহল দেশি এবং আন্তর্জাতিক সক্রিয় সহযোগিতায় বাংলাদেশবিরোধী প্রচারণায় লিপ্ত হয়েছে। তাদের আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে শেখ হাসিনা বাঙালি জাতিকে যে আত্মমর্যাদায় উন্নীত করেছেন, তা নস্যাৎ করা, আন্তর্জাতিক কুচক্রী মহলের সহযোগিতায় সরকার হটিয়ে, পুতুল সরকার বসিয়ে তাদের উদ্দেশ্য সফল করা। গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে তারা বার বার বাধা সৃষ্টি করছে। অপতৎপরতা সফল করতে বিএনপি মিডিয়ায় একের পর এক অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হলে দলকে শক্তিশালী করতে হবে। আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত সুশৃংখল করে গড়ে তুলতে হবে। আওয়ামী লীগকে অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। আওয়ামী লীগ করলে নিয়ম শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে। কোনো অপকর্ম যেন শেখ হাসিনার উন্নয়নকে ম্লান করতে না পারে। আওয়ামী লীগে অপকর্মকারীদের স্থান নেই। তৃণমূলের দলকে ঢেলে সাজাতে হবে। ঘরে বসে কমিটি করলে চলবে না, কোনো পকেট কমিটি চলবে না। কাউন্সিলের মাধ্যমে কমিটি করতে হবে, এর কোনো বিকল্প নেই।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ ফারুক খান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এবং শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এবং সাংগঠনিক সম্পাদক এবং সাবেক প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম।
প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান। সভা পরিচালনা করেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস. এম. মান্নান কচি।