কুষ্টিয়ায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ১০
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে হামলা-পাল্টা হামলা ও বাড়িঘর ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এসময় প্রায় ১০ নারী-পুরুষ ও শিশু আহত হয়েছে।
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে হামলা-পাল্টা হামলা ও বাড়িঘর ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এসময় প্রায় ১০ নারী-পুরুষ ও শিশু আহত হয়েছে।
বুধবার দুপুর ও রাতে উপজেলার কোমরভোগ গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাতে সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এ মামলায় আমিরুল ইসলাম (৪০), শাহজাহান আলী (৪৫)। শাহজাহান আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে রয়েছেন। অন্যদের নাম জানা যায়নি। জানা গেছে, বুধবার (৭ এপ্রিল) রাতে কোমরভোগ গ্রামের স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা ও ইউপি সদস্য জাবেদ আলী ও নয়নের সহযোগীদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে একপক্ষ প্রতিপক্ষের লোকদের ওপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এসময় প্রায় ১০ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে শাহজাহানের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ওসমানপুর ইউপি মেম্বার জাবেদ আলী বলেন, মঙ্গলবার রাতে দুই পক্ষের লোকদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এসময় প্রতিপক্ষের নেতা লিটন মাস্টার হামলা চালানোর ঘোষণা দেন। বুধবার দুপুরে প্রতিপক্ষের লোকজন জাবেদ আলীর বাড়িতে ইটপাটকেল ছুঁড়তে থাকে। একই রাতে জাবেদ আলীর লোকজন পাল্টা প্রতিপক্ষের ওপর হামলা চালায়।
এই ঘটনার বিষয়ে খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে।