'ওমিক্রন' ঠেকাতে দ. আফ্রিকার সাথে যোগাযোগ বন্ধ : জাহিদ মালেক

সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত হওয়া কোভিড-১৯ স্ট্রেন বি.১.১.৫২৯ ধরনকে ‘ওমিক্রন’ নাম দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউ এইচ ও)। করোনার এই নতুন ধরন প্রতিরোধে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে যোগাযোগ স্থগিত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

'ওমিক্রন' ঠেকাতে দ. আফ্রিকার সাথে যোগাযোগ বন্ধ : জাহিদ মালেক
ফাইল ছবি

সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত হওয়া কোভিড-১৯ স্ট্রেন বি.১.১.৫২৯ ধরনকে ‘ওমিক্রন’ নাম দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউ এইচ ও)। করোনার এই নতুন ধরন প্রতিরোধে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে যোগাযোগ স্থগিত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

শনিবার (২৭ নভেম্বর) সকালে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অনুষ্ঠিতব্য ‘World Health Assembly Second Special Session’ এ অংশ নিতে যাত্রাকালে এক অডিও বার্তায় তিনি এ নির্দেশনা দেন।

জাহিদ মালিক বলেন, আফ্রিকান নতুন ভেরিয়েন্ট বিষয়ে আমরা জেনেছি।  এই ভাইরাসটি খুবই অ্যাগ্রেসিভ। সে কারণে আফ্রিকার সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ এখন স্থগিত করা হচ্ছে। সব এয়ারপোর্ট, ল্যান্ডপোর্ট বা দেশের সব প্রবেশপথে স্ক্রিনিং আরও জোরদার করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে সারা দেশেই স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলতে ও মুখে মাস্ক পরতে উদ্বুদ্ধ করতে সব জেলা শহরের প্রশাসনকে নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, বিশ্বের আক্রান্ত অন্যান্য জায়গা থেকে যারা আসবে তাদের বিষয়েও সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। কোনোভাবেই স্ক্রিনিং ছাড়া আক্রান্ত দেশের কোনো ব্যক্তি যেন দেশে প্রবেশ করতে না পারেন, সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট শাখাগুলোকেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এ সময় বিমানবন্দরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর এবিএম খুরশিদ আলমসহ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ডব্লিউএইচও বিবৃতিতে বলা হয়, সামনে আসা নানা প্রমাণ করোনা মহামারি ক্ষতিকর দিকে মোড় নেওয়ার আভাস দিচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বি.১.১.৫২৯ ধরনকে উদ্বেগজনক হিসেবে আখ্যায়িত করছে। এটার নতুন নাম দেওয়া হয়েছে ওমিক্রন। প্রাথমিকভাবে হাতে আসা তথ্য বলছে, এই ধরনটির মাধ্যমে করোনার সংক্রমণ নতুন করে বিস্তারের ঝুঁকি রয়েছে।

করোনার ডেলটা ধরনের দাপটে ইউরোপের দেশগুলোতে এই মুহূর্তে ভাইরাসের চতুর্থ ঢেউ চলছে। এর মধ্যেই শনাক্ত হলো ওমিক্রন। একে এখন পর্যন্ত খোঁজ মেলা করোনার ভয়াবহ ধরনগুলোর মধ্যে একটি হিসেবে ধরা হচ্ছে। মহামারির শুরুর দিকে তুলনামূলক দুর্বল আলফা, বেটা ও গামা ধরনও আশঙ্কাজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিল।

নতুন শনাক্ত হওয়া ধরনটি নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাতে কয়েক সপ্তাহ সময় লাগবে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ধরনটির সংক্রমণের ক্ষমতা এবং শারীরিক জটিলতা সৃষ্টির ক্ষেত্রে কোনো পরিবর্তন এনেছে কিনা তা এ সময়ের মধ্যে খতিয়ে দেখা হবে।

শ্রেণিবিন্যাস অনুযায়ী ওমিক্রন কোভিড-১৯ ভেরিয়েন্টের মধ্যে সবচেয়ে বিপদজনক, বিশ্বব্যাপী প্রভাবশালী ডেল্টা এবং দুর্বল প্রতিদ্বন্দ্বী আলফা,বিটা ও গামার চেয়ে ওমিক্রন ব্যাপক শক্তিশালী।

শুক্রবার ওমিক্রনের বিস্তার রোধে বিভিন্ন দেশ ফ্লাইট স্থগিত করার তোড়জোর শুরু করে, স্টক মার্কেটে ধস ঠেকানো এবং তেলের চড়া মূল্য মোকাবিলা এবং অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টার মধ্যে নতুন ভেরিয়েন্ট আতঙ্ক সৃষ্টি করছে।