ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’: সাতক্ষীরায় শতশত গ্রাম ও চিংড়ী ঘের প্লাবিত

ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’-এর প্রভাবে সাতক্ষীরা জেলার সুন্দরবন সংলগ্ন শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলার শতাধিক গ্রাম জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে। এসব গ্রামের বিপুল সংখ্যক কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। পানিতে ভেসে গেছে কয়েকশত চিংড়ী ঘের।

ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’: সাতক্ষীরায় শতশত গ্রাম ও চিংড়ী ঘের প্লাবিত

ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’-এর প্রভাবে সাতক্ষীরা জেলার সুন্দরবন সংলগ্ন শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলার শতাধিক গ্রাম জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে। এসব গ্রামের বিপুল সংখ্যক কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। পানিতে ভেসে গেছে কয়েকশত চিংড়ী ঘের।

পানির তোড়ে শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলার স্বাভাবিক সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। পাশাপাশি বিস্তীর্ণ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। তবে এখন পর্যন্ত কোন প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি। উপদ্রুত এলাক্রা বাসিন্দারা নিরাপদ স্থানে সরে গেছেন। জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

বুধবার বেলা ১২ টার পর থেকে শ্যামনগর উপজেলার পদ্মপুকুর ইউনিয়নের ঝাপা গ্রামে বেড়িবাঁধের চারটি পয়েন্ট, পাতাখালির দুটি পয়েন্ট, রমজাননগরের দুটি পয়েন্ট, গাবুরার তিনটি পয়েন্ট, কৈখালির দুটি পয়েন্ট, বুড়িগোয়ালিনীর তিনটি পয়েন্ট ও নূরনগর ইউনিয়নের একটি পয়েন্টসহ ১৬টি স্থানে বেড়িবাঁধ উপচে পানি লোকালয়ে ঢুকে পড়েছে।বিভিন্ন জায়গায় ভেঙ্গে গেছে বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে।

এদিকে, কালিগঞ্জ উপজেলার হাড়দ্দাহ গ্রামে কালিন্দী নদীতে পাউবো’র বেড়িবাঁধ ভেঙে ১০টি গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে। আশাশুনির দয়ারঘাট, কুড়িকাহনিয়া লঞ্চঘাট, হরিশখালী, সুভদ্রাকাটি এলাকা নোনা পানিতে সয়লাব হয়েছে, পানিবন্দী হয়ে পড়েছে গ্রামবাসী।

শ্যামনগর উপজেলার গাবুরার জেলেখালি, নেবুবুনিয়া, চাঁদনীমুখা, দূর্গাবটি সহ বিভিন্ন এলাকা এখন পানিতে ভাসছে। গ্রামবাসী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বালিরবস্তা এবং মাটি ফেলে বাঁধ সংস্কারের চেষ্টা করছেন।

শ্যামনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউল হক দোলন জানান, ৩০ ভাগ চিংড়ী ঘের পানিতে তলিয়ে গেছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু জার গিফারী জানান, এখন পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করা যায়নি।

সাতক্ষীরা-৪ (শ্যামনগর ও কালীগঞ্জ-আংশিক) আসনের সংসদ সদস্য জিএম জগলুল হায়দার বলেন, একবছর আগে আঘাত হানা আম্ফানের ক্ষত না শুকাতেই আবারো ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ মানুষকে নতুন করে বিপদে ফেলেছে। সবাই একসাথে কাজ করে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে।

সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল জানান, দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য সরকার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের মাধ্যমে দু’কোটি ১৫লাখ টাকা নগদ বরাদ্দ দিয়েছে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জন্য আপদকালীন ভিত্তিতে ১৬৩ মেট্রিকটন চাল বিতরণ করা হচ্ছে।

তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ মোকাবেলার জন্য সরকার ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের চাহিদা মোতাবেক দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবে।

প্রকৌশল নিউজ/প্রতিনিধি/এমআরএস