কিশোরগঞ্জে আ.লীগ ও হেফাজতের সংঘর্ষ, আহত ৫০; আ.লীগ কার্যালয় ভাংচুর
কিশোরগঞ্জে হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতাল চলাকালে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। দফায় দফায় হওয়া ওই সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৫০ জন আহত হয়েছেন।
কিশোরগঞ্জে হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতাল চলাকালে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। দফায় দফায় হওয়া ওই সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৫০ জন আহত হয়েছেন।
রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে এবং তা প্রায় বেলা আড়াইটা পর্যন্ত চলে।
সংঘর্ষে জেলা আওয়ামী লীগের নেতা আমিনুল ইসলাম, জেলা ছাত্রলীগ নেতা আনোয়ার হোসেন, ফয়েজ ওমান ও হেফাজত নেতা কে এম নাজিমুদ্দিন, আল জামিয়াতুল ইমদাদিয়া মাদ্রাসার কয়েকজন ছাত্রসহ প্রায় ৫০ জন আহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশের দেওয়া তথ্য মতে, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীসহ কয়েক শ হরতাল সমর্থনকারী লাঠিসোঁটা নিয়ে জেলা শহরের স্টেশন রোডে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলা চালান। এ সময় তাঁরা ওই কার্যালয়ের সাইনবোর্ড ও ভেতরের আসবাব ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন। প্রায় ১৫-২০ মিনিট ধরে ভাঙচুর করার পর আওয়ামী লীগের কিছু নেতা-কর্মী কার্যালয়ে এসে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেন।
হরতাল চলাকালে কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের স্টেশন রোডের গৌরাঙ্গবাজার, শহীদি মসজিদ প্রাঙ্গণ, পুরান থানা, একরামপুর, আওয়ামী লীগ কার্যালয় ও আঠারো বাড়ি কাচারি মোড়ে দফায় দফায় আওয়ামী লীগ ও হেফাজতের নেতা-কর্মীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়।
কিশোরগঞ্জ ইমাম উলামা পরিষদের সভাপতি ও হেফাজত নেতা মাওলানা শফিকুর রহমান জালালাবাদী বলেন, তাঁরা শান্তিপূর্ণ হরতাল পালন করতে চেয়েছিলেন। কোনো সংঘর্ষের পক্ষে ছিলেন না। এমনকি সংঘর্ষ চলাকালে তিনি শহীদি মসজিদের মাইকে বারবার হেফাজত কর্মীসহ মাদ্রাসাছাত্রদের সড়ক ছেড়ে নিজ নিজ কাজে ফিরে যেতে আহ্বান জানিয়েছেন।
কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ আফজল বলেন, হরতালের নামে জঙ্গি বাহিনী ন্যক্কারজনকভাবে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ব্যাপক হামলা ও ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।
পুলিশ সুপার মো. মাশরুকুর রহমান বলেন, পরিস্থিতি শান্ত রাখতে পুলিশ, বিজিবি, র্যাবসহ বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে। তাঁরা সহিংসতা প্রতিরোধ করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যাপক উপস্থিতির কারণেই বড় ধরনের কোনো সহিংসতা ঘটেনি। তবে সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ কিছু কাঁদানে গ্যাসের শেল ও ফাঁকা গুলি ছুড়েছে।
আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুরসহ সব ঘটনার আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং যারা এ অস্থিতিশীল পরিস্থিতিরি জন্য দায়ী তাঁদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে বলেও জানান তিনি।
প্রকৌশল নিউজ/এমআর