কৃষিতে সরকার সুশাসন প্রতিষ্ঠা করেছে: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ধানের চাষ করতে যেয়ে সরিষা, কলাই প্রভৃতি চাষে কৃষকের আগ্রহ কমে যাচ্ছে। অথচ, বছরে বিদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ ভোজ্যতেল আমদানি করতে হয়। যার পিছনে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় হয়। ধানের উৎপাদন না কমিয়ে যদি আরেকটা বাড়তি ফসল সেটি সরিষা, আলু, কলাই করা যায়, তাহলে দেশের কৃষি বিরাট উপকৃত হবে এবং কৃষক লাভবান হবে। আমনে বিনা-১৬ জাতের ধান চাষ করলে বোরো ধান চাষের আগে আরেকটি ফসল করা সম্ভব। বিশেষ করে বিনা উদ্ভাবিত সরিষা। এতে একদিকে ধানের ফলন কমবে না, অন্যদিকে, কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করা সম্ভব হবে।
কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ধানের চাষ করতে যেয়ে সরিষা, কলাই প্রভৃতি চাষে কৃষকের আগ্রহ কমে যাচ্ছে। অথচ, বছরে বিদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ ভোজ্যতেল আমদানি করতে হয়। যার পিছনে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় হয়। ধানের উৎপাদন না কমিয়ে যদি আরেকটা বাড়তি ফসল সেটি সরিষা, আলু, কলাই করা যায়, তাহলে দেশের কৃষি বিরাট উপকৃত হবে এবং কৃষক লাভবান হবে। আমনে বিনা-১৬ জাতের ধান চাষ করলে বোরো ধান চাষের আগে আরেকটি ফসল করা সম্ভব। বিশেষ করে বিনা উদ্ভাবিত সরিষা। এতে একদিকে ধানের ফলন কমবে না, অন্যদিকে, কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করা সম্ভব হবে।
কৃষিমন্ত্রী বুধবার ভার্চুয়ালি টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) আয়োজিত ‘কৃষক সমাবেশ ও মাঠ দিবসে’ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। উচ্চফলনশীল ‘বিনা-৯’ জাতের সরিষার মাঠ প্রদর্শনী উপলক্ষ্যে পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
কৃষিতে সরকার সুশাসন প্রতিষ্ঠা করেছে উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, কৃষির উন্নতি না হলে বাংলাদেশের উন্নতি হবে না। সেজন্য কৃষিবান্ধব সরকার কৃষিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। স্বল্পসুদে কৃষকদের কৃষিঋণ প্রদান করছে, সার, সেচসহ সকল কৃষি উপকরণের দাম কমিয়েছে এবং কৃষি উপকরণ সহজলভ্য করেছে। কৃষকের যাতে কোন কষ্ট না হয় সেজন্য সরকার সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। অথচ, বিএনপি’র শাসনামলে কৃষি উপকরণের জন্য কৃষকদেরকে হাহাকার করতে হয়েছিল। সারের জন্য আন্দোলন করতে হয়েছিল। বিএনপি সারের দাবিতে আন্দোলনরত ১৮জন কৃষককে হত্যা করেছিল।
বিনা’র তথ্যমতে, বিনা সরিষা-৯ এর হেক্টর প্রতি গড় ফলন ১.৮ টন। জীবনকাল ৮৭ দিন। যেসব এলাকায় আমন ও বোরোর মাঝের সময়টুকু জমি পতিত থাকে, সেসব এলাকায় আমনে বিনাধান-১৬ বা বিনাধান-১৭ চাষ করে বিনা সরিষা-৯ চাষ করা যাবে। এবং এ জাতের সরিষা তোলার পর বোরো ধান চাষ করা যাবে। ফলে, ধানের চাষ ব্যাহত হবে না। এবার ধনবাড়ীতে ৪৬০ বিঘা জমিতে বিনা-৯ সরিষার চাষ হয়েছে প্রদর্শনীর মাধ্যমে। এর সাথে মৌচাষও করা হয়েছে। ফুল আসার পর মৌবক্স স্হাপন করে আটটি বক্স হতে ১২ কেজি মধু সংগ্রহ করা হয়েছে।
বিনা’র ব্যবস্থাপনা বোর্ডের সদস্য মীর ফারুক আহম্মেদের সভাপতিত্বে বিনা’র মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম, পিএসও ড. শহীদুল ইসলাম, আছিয়া আহসান আলী মহিলা ডিগ্রী কলেজের উপাধ্যক্ষ সাইফুল ইসলাম বেলাল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।