ক্যানবেরায় ‘গণহত্যা দিবস’ পালন
আষ্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে যথাযথ মর্যাদায় গণহত্যা দিবস পালন করা হয়। এ উপলক্ষে হাইকমিশন প্রাঙ্গণে সন্ধ্যায় গণহত্যা দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য্য বিষয়ক আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে ক্যানবেরা প্রবাসী বাংলাদেশি, বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মকর্তা এবং তাদের পরিবারবর্গ অংশগ্রহণ করেন।
আষ্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে যথাযথ মর্যাদায় গণহত্যা দিবস পালন করা হয়। এ উপলক্ষে হাইকমিশন প্রাঙ্গণে সন্ধ্যায় গণহত্যা দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য্য বিষয়ক আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে ক্যানবেরা প্রবাসী বাংলাদেশি, বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মকর্তা এবং তাদের পরিবারবর্গ অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ২৫ মার্চ ১৯৭১ সালে গণহত্যায় সকল শহীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে দাঁড়িয়ে ১ মিনিট নিরবতা পালন করে। সেইসাথে নিহতদের আত্মার মুক্তি কামনা করে নিজ নিজ ধর্ম মতে মৌন প্রার্থনা করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ‘গণহত্যা দিবস’ উপলক্ষে প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়।
এছাড়া, গণহত্যা দিবস উপলক্ষে নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
এসময়, আলোচনায় হাইকমিশনার সুফিউর রহমানসহ কয়েকজন প্রবাসী বাংলাদেশি অংশগ্রহণ করেন। হাইকমিশনার তার বক্তব্যের শুরুতে ২৫ মার্চ ১৯৭১ এর গণহত্যা সহ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। তিনি পাকিস্তানী, উৎসসমূহের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকবাহিনী ও তাদের দোসরদের যুদ্ধাপরাধ, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংগঠনের প্রমাণ উপস্থাপন করেন।
তিনি ১৯৪৮ এ গৃহীত জেনোসাইড কনভেনশনের বিভিন্ন ধারার ব্যাখ্যা করে ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে জেনোসাইড সংগঠিত হয়েছে মর্মে যুক্তি উত্থাপন করেন। তিনি এ লক্ষে অধিকতর আন্তর্জাতিক সংযোগের উপর গুরুত্বারোপ করেন।
‘গণহত্যা দিবস’ সহ একাত্তরের সকল শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন ও তাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ করা হয।
প্রকৌশলনিউজ/এসআই