জমির বিরোধে গুলি, অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার দুই

রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকা থেকে অস্ত্র-গুলি উদ্ধারসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি)গোয়েন্দা মিরপুর বিভাগ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- মোঃ রফিকুল ইসলাম ওরফে রতন (৪৫) ও মোঃ আরমান (২৯)।

জমির বিরোধে গুলি, অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার দুই

রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকা থেকে অস্ত্র-গুলি উদ্ধারসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা মিরপুর বিভাগ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- মোঃ রফিকুল ইসলাম ওরফে রতন (৪৫) ও মোঃ আরমান (২৯)।

বৃহস্পতিবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার।

ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, গত ৪ জুন, রাজধানীর হাজারীবাগ থানার শিকারীটোলা এলাকায় মোঃ আবুল হাশেম (৫৫) ও মোঃ মামুন (৩২) এর মধ্যে জায়গা জমি নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এ বিরোধকে কেন্দ্র করে আবুল হাশেম ভাড়াটে সন্ত্রাসী রফিক বাহিনীর ৮/১০ জন লোক নিয়ে বিরোধপূর্ণ জমিতে দেয়াল নির্মাণ করতে যায়। এ সময়ে মামুনসহ তার পরিবারের সদস্যরা বাধা প্রদান করেন। এতে হাশেমের নির্দেশে রফিক বাহিনীর প্রধান রফিকসহ আরমান, রাসেল ও মহসিন ভিকটিম মামুনকে গুলি করে। এ ঘটনায় হাজারীবাগ থানায়  মামলা হয়। মামলাটি তদন্ত শুরু করে গোয়েন্দা মিরপুর জোনাল টিম।

তিনি বলেন, মামলাটি তদন্তকালে বুধবার সাড়ে ৬টার দিকে ঢাকা জেলার সাভার থানা ও রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকায় একাধিক অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের দেয়া তথ্যমতে রাজধানীর হাজারীবাগ থানা এলাকা থেকে একটি পিস্তল, একটি রিভলবার, ২ রাউন্ড গুলি ও একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।

তিনি আরো বলেন, জমি দখল নিয়ে কেউ সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

কিশোর গ্যাং অপরাধ সংক্রান্তে সাংবাদিকের অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কিশোর গ্যাং অপরাধ নিরসনে ডিএমপির গোয়েন্দা জোনাল টিম এবং থানাগুলোকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তাদের মদতদাতা যদি কেউ থাকে তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে মর্মে বলেন পুলিশের এ গোয়েন্দা কর্মকর্তা ।

উল্লেখ্য, গ্রেপ্তারকৃত রফিক আলোচিত সানু হত্যা মামলায় ২২ বছর কারাভোগ শেষে ২০১৭ সালে মুক্তি পায়। ২০১৯ সালে অপর এক অস্ত্র মামলায় এক বছর কারাভোগ শেষে আবারো সে অপরাধমূলক কর্মকান্ডে লিপ্ত হয়।

প্রকৌশল নিউজ/এমআরএস