জুন-জুলাইয়ে ডিএমপিতে শ্রেষ্ঠ হলেন যাঁরা
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) জুন ও জুলাই মাসে অস্ত্র, মাদক, গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিলসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে বিভিন্ন পর্যায়ের পুলিশ সদস্যকে পুরস্কৃত করলেন কমিশনার মোহাঃ শফিকুল ইসলাম।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) জুন ও জুলাই মাসে অস্ত্র, মাদক, গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিলসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে বিভিন্ন পর্যায়ের পুলিশ সদস্যকে পুরস্কৃত করলেন কমিশনার মোহাঃ শফিকুল ইসলাম।
বুধবার ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় শ্রেষ্ঠদের পুরস্কৃত করেন ডিএমপি কমিশনার।
সভায় উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে কমিশনার বলেন, দেশে লকডাউনের বিধিনিষেধ শিথিল করায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে যাচ্ছে। আইন-শৃঙ্খলা যাতে অবনতি না ঘটে সে দিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। প্রকৃত অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। দায়িত্বপ্রাপ্ত সবাই নিজ নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে হবে। ঢাকা শহরের অপরাধ প্রতিরোধে সবাইকে আরো নিরলসভাবে কাজ করতে হবে।
ষোল বছরের উর্ব্ধে কোন ব্যক্তি বাসা হতে নিখোঁজ হয়েছে মর্মে তথ্য পেলে কিংবা থানায় জিডি হলে এ সংক্রান্তে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটকে অবহিত করার জন্য নির্দেশনা দেন ডিএমপি কমিশনার।
জুন মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ডিএমপির ৮টি ক্রাইম বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে গুলশান বিভাগ। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ক্রাইম বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনারদের মধ্যে প্রথম হয়েছেন গুলশান বিভাগে ক্যান্টনমেন্ট জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবির। শ্রেষ্ঠ মাদকদ্রব্য উদ্ধারকারী অফিসার তেজগাঁও জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মোঃ মাহমুদ খান। ডিএমপির সকল থানার মধ্যে শ্রেষ্ঠ থানা নির্বাচিত হয়েছে শাহজাহানপুর থানা। পুলিশ পরিদর্শক তদন্তদের মধ্যে প্রথম হয়েছেন শাহজাহানপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ রফিকুল ইসলাম, বিপিএম। পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশনস্)দের মধ্যে প্রথম হয়েছেন সবুজবাগ থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশনস্) মোঃ আজগর আলী । শ্রেষ্ঠ এসআই যৌথভাবে নির্বাচিত হয়েছেন মতিঝিল থানার এসআই মোঃ শফিকুল ইসলাম আকন্দ ও পল্টন থানার এসআই সুজন কুমার তালুকদার । শ্রেষ্ঠ এএসআই যৌথভাবে নির্বাচিত হয়েছেন মতিঝিল থানার এএসআই মোঃ হেলাল উদ্দিন ও বংশাল থানার এএসআই মোঃ তাজুল ইসলাম।
৯টি গোয়েন্দা বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে গোয়েন্দা তেজগাঁও বিভাগ। শ্রেষ্ঠ টিম লিডার মুজিব আহম্মদ পাটওয়ারী, সহকারী পুলিশ কমিশনার, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও মাদক নিয়ন্ত্রণ টিম, ডিবি-তেজগাঁও । চোরাই গাড়ী উদ্ধারে শ্রেষ্ঠ টিম লিডার মধুসূদন দাস, সহকারী পুলিশ কমিশনার, সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়ীচুরি প্রতিরোধ টিম, ডিবি-লালবাগ। মাদকদ্রব্য উদ্ধারে শ্রেষ্ঠ টিম লিডার মুজিব আহম্মদ পাটওয়ারী, সহকারী পুলিশ কমিশনার, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও মাদক নিয়ন্ত্রণ টিম, ডিবি-তেজগাঁও। অস্ত্র উদ্ধারে শ্রেষ্ঠ টিম লিডার মোঃ সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার, মিরপুর জোনাল টিম, ডিবি-মিরপুর। অজ্ঞান/মলম পার্টি গ্রেফতারে শ্রেষ্ঠ টিম লিডার মোঃ আবু আশরাফ সিদ্দিকী, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার, ওয়ারী জোনাল টিম, ডিবি-ওয়ারী বিভাগ।
৮টি ট্রাফিক বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে ট্রাফিক লালবাগ বিভাগ। শ্রেষ্ঠ সহকারী পুলিশ কমিশনার বিমান কুমার দাস, কোতয়ালী ট্রাফিক জোন। শ্রেষ্ঠ ট্রাফিক ইন্সপেক্টর গোলাম মাওলা কবির, ওয়ারী ট্রাফিক জোন। শ্রেষ্ঠ সার্জেন্ট যৌথভাবে সার্জেন্ট মোঃ সোয়ায়েব হোসেন, শাহবাগ ট্রাফিক জোন ও সার্জেন্ট আঃ কাদের, মোহাম্মদপুর ট্রাফিক জোন।
এছাড়াও জুলাই মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ডিএমপির ৮টি ক্রাইম বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে গুলশান বিভাগ। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ক্রাইম বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনারদের মধ্যে প্রথম হয়েছেন গুলশান বিভাগে গুলশান জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মোঃ রফিকুল ইসলাম, পিপিএম। শ্রেষ্ঠ মাদকদ্রব্য উদ্ধারকারী অফিসার তেজগাঁও জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মোঃ মাহমুদ খান। ডিএমপির সকল থানার মধ্যে শ্রেষ্ঠ থানা নির্বাচিত হয়েছে খিলক্ষেত থানা। পুলিশ পরিদর্শক তদন্তদের মধ্যে প্রথম হয়েছেন খিলক্ষেত থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ আমিনুল ইসলাম । পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশনস্)দের মধ্যে প্রথম হয়েছেন খিলক্ষেত থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশনস্) হুমায়ুন কবীর । শ্রেষ্ঠ এসআই যৌথভাবে নির্বাচিত হয়েছেন গুলশান থানার এসআই মিরাজ আকন ও আতিকুর রহমান। শ্রেষ্ঠ এএসআই যৌথভাবে নির্বাচিত হয়েছেন খিলগাঁও থানার এএসআই মোঃ জালাল উদ্দিন ও ভাটারা থানার এএসআই ঝন্টু রাজবংশী।
৯টি গোয়েন্দা বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে গোয়েন্দা গুলশান বিভাগ। শ্রেষ্ঠ টিম লিডার এসএম রেজাউল হক, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার, ক্যান্টনমেন্ট জোনাল টিম, ডিবি-গুলশান । চোরাই গাড়ী উদ্ধারে শ্রেষ্ঠ টিম লিডার মধুসূদন দাস, সহকারী পুলিশ কমিশনার, সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়ীচুরি প্রতিরোধ টিম, ডিবি-লালবাগ। অস্ত্র উদ্ধারে যৌথভাবে শ্রেষ্ঠ টিম লিডার এসএম রেজাউল হক, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার, ক্যান্টনমেন্ট জোনাল টিম, ডিবি-গুলশান ও টিম লিডার মোঃ শাহাদত হোসেন সুমা বিপিএম, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার, তেজগাঁও জোনাল টিম, ডিবি-তেজগাঁও । মাদকদ্রব্য উদ্ধারে শ্রেষ্ঠ টিম লিডার এসএম রেজাউল হক, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার, ক্যান্টনমেন্ট জোনাল টিম, ডিবি-গুলশান। অজ্ঞান/মলম পার্টি গ্রেফতারে শ্রেষ্ঠ টিম লিডার মোঃ সাইফুর রহমান আজাদ, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার, কোতয়ালী জোনাল টিম, ডিবি-লালবাগ বিভাগ।
৮টি ট্রাফিক বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে ট্রাফিক লালবাগ বিভাগ। শ্রেষ্ঠ সহকারী পুলিশ কমিশনার বিমান কুমার দাস, কোতয়ালী ট্রাফিক জোন। শ্রেষ্ঠ ট্রাফিক ইন্সপেক্টর গোলাম মাওলা কবির, ওয়ারী ট্রাফিক জোন। শ্রেষ্ঠ সার্জেন্ট যৌথভাবে সার্জেন্ট মোঃ মনিরুল ইসলাম, শাহবাগ ট্রাফিক জোন ও সার্জেন্ট আঃ কাদের, মোহাম্মদপুর ট্রাফিক জোন।
এসময় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (এ্যাডমিন) মীর রেজাউল আলম বিপিএম (বার), পিপিএম-বার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপারেশনস্) কৃষ্ণ পদ রায় বিপিএম-বার, পিপিএম-বার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স এন্ড প্রকিউরমেন্ট) ড. এ এফ এম মাসুম রব্বানী, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) এ কে এম হাফিজ আক্তার বিপিএম-বার, অতিরিক্ত পুলিশ কশিনার (ট্রাফিক) মোঃ মুনিবুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম) মোঃ আসাদুজ্জামান বিপিএম-বার, যুগ্ম পুলিশ কমিশনারগণ, উপ-পুলিশ কমিশনারগণসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
প্রকৌশল নিউজ/এমআরএস