দুবাই প্রবাসীর সাড়ে ১১ লাখ টাকার সোনার বার উদ্ধার

দুবাই প্রবাসী মেহেদী হাসানের সাড়ে ১১ লাখ টাকার ২৩২ গ্রাম সোনার বার উদ্ধার করেছে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ। অভিযোগ দেয়ার ১৩ দিন পর ফেনী থেকে উদ্ধার করে সোনার বার দুটি হাসানের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

দুবাই প্রবাসীর সাড়ে ১১ লাখ টাকার সোনার বার উদ্ধার

দুবাই প্রবাসী মেহেদী হাসানের সাড়ে ১১ লাখ টাকার ২৩২ গ্রাম সোনার বার উদ্ধার করেছে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ। অভিযোগ দেয়ার ১৩ দিন পর ফেনী থেকে  উদ্ধার করে সোনার বার দুটি হাসানের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

আর্মড পুলিশ সূত্রে জানা গেছে,  ২৩ মার্চ সকালে দুবাই থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসেন মেহেদী হাসান। 

ইমিগ্রেশন শেষ করে বেল্ট থেকে ব্যাগ নিয়ে কাস্টমস জোনে যান তিনি।  সে সময় কাস্টমস কর্মকর্তারা তাকে তল্লাশী ও জিঙ্গাসাবাদ করে। মেহেদী কাস্টমস কমকর্তাদের জানান, তার কাছে দুটি সোনার বার আছে এবং তিনি শুল্ক দিবেন। সোনালি ব্যাংকের মাধ্যমে ৪০ হাজার টাকা শুল্ক পরিশোধ করেন মেহেদী। 

গ্রীণ জোন থেকে বের হয়ে যাবার সময় আবার এক কাস্টমস কর্মকর্তা মেহেদীকে আবারও তল্লাশীর জন্য ডাকেন। তখন তিনি জানান, তিনি যে সোনার বার এনেছেন তার শুল্ক দিয়েছেন। 

তাকে সোনার বার দুটি স্ক্যানারে দিতে এবং তাকেও স্ক্যানারের ভেতর দিয়ে যেতে বলা হয়। এরপর কাস্টমস কর্মকর্তাদের তল্লাশী শেষ করে গ্রীণ জোন থেকে বেরিয়ে গাড়ি পার্কি এরিয়ায় যাওয়ার পর মেহেদী টের পান তিনি তো সোনার বার দুটি আনেনি, যা তিনি কাস্টমসের স্ক্যানার মেশিনে দিয়েছিলেন। দৌড়ে ছুটে গেলেন কাস্টমস জোনে। কিন্তু সোনার বার আর ফেরত পেলেন না। 

বিমানবন্দরে এক যাত্রী মেহেদী কে পরামর্শ দিলেন বিমানবন্দর আর্মড পুলিশের অফিসে অভিযোগ দেওয়ার জন্য। কাস্টম জোন থেকে আর্মড পুলিশের অফিসে গেলেন মেহেদী। মেহেদীর কাছ থেকে বিস্তারিত তথ্য নিলো বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ এবং আশ্বাস দেওয়া হলো উদ্ধার হবে সোনার বার। 

১২ দিন পর মেহেদীকে ফোন করলো বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ। সোনার বার দুটি উদ্ধার করার পর তাকে নিয়ে যেতে বলা হয়। ৫ এপ্রিল ঢাকায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে বার দুটি ফেরত নিয়ে যায় মেহেদী। 

মেহেদী বলেন, আমি আসলে দুশ্চিন্তার মধ্যে ছিলাম। আমি বিমানবন্দর আর্মড পুলিশের কাছে কৃতজ্ঞ, তাদের আন্তরিকতার কারণে সোনার বার দুটি ফেরত পেলাম। 

সোনার বার দুটি উদ্ধার প্রসঙ্গে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন বলেন, তার অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ শুরু করি। কাস্টমসের স্ক্যানার মেশিন থেকে ব্যাগ নিচ্ছেন যাত্রীরা। যাত্রীদের মধ্যেই একজন ট্রে-তে রাখা দুটি বার নিয়ে যান। কিন্তু কে সে যাত্রী? 

সেটি সনাক্ত করতে আমাদের সময়ও লাগে কিছুটা। বিমানবন্দরের বিভিন্ন সংস্থার সহায়তা আমরা নেই। তারপর একজন যাত্রীকে সনাক্ত করতে সক্ষম হই। যিনি একই দিনে দুবাই থেকে  এসেছেন। সেই যাত্রী স্ক্যানার মেশিনে দুটি সোনার বার দেখতে পান, আর তা নিজের পকেটে নিয়ে নেন।  

সেই যাত্রী কোন গাড়িতে গেলেন, তার পাসপোর্ট সহ বিভিন্ন তথ্য আমরা সংগ্রহ করি। পরে জানতে পারি সেই যাত্রী সোনার বার দুটি নিয়ে ফেনীতে নিজের গ্রামের বাড়িতে গেছেন।  তারপর সেই যাত্রীর কাছ থেকে সোনার বার দুটি উদ্ধার করে মেহেদীকে ফেরত দেওয়া হয়।