দেশে করোনায় মৃত্যু ছাড়ালো দুই শতাধিক
করোনাভাইরাসের ডেল্টা ভেরিয়েন্টে দিন দিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। প্রতিদিনই পাল্লা দিচ্ছে মৃত্যু ও শনাক্তের রেকর্ড। মহামারিতে সংক্রমণের ৪৮৫ তম দিন শেষে আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২০১ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। এ নিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৫৯৩ জনে।
করোনাভাইরাসের ডেল্টা ভেরিয়েন্টে দিন দিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। প্রতিদিনই পাল্লা দিচ্ছে মৃত্যু ও শনাক্তের রেকর্ড। মহামারিতে সংক্রমণের ৪৮৫ তম দিন শেষে আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২০১ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত ২০১ জনের মধ্যে পুরুষ ১১৯ জন ও মহিলা ৮২ জন। যা একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। এ নিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৫৯৩ জনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে আরও ১১ হাজার ১১১৬২ জনের শরীরে। যা একদিনে দিত্বীয় সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড। এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৯ লাখ ৭৭ হাজার ৫৬৮ জন।
মঙ্গলবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, একই সময়ে সরকারি ও বেসরকারি ৬০৫ টি ল্যাবরেটরিতে ৩৭ হাজার ১৪৭ টি নমুনা সংগ্রহ করে ৩৫ হাজার ৬৩৯ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়াল ৬৮ লাখ ২৯ হাজার ৮৩২ টি। নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪৯ লাখ ৯২ হাজার ৭৪৩ টি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৮ লাখ ৩৭ হাজার ৮৯ টি।
নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ৩২ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৩১ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫ হাজার ৯৮৭ জন। এ নিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা ৮ লাখ ৫০ হাজার ৫০২ জন। সুস্থতার হার ৮৭ শতাংশ। মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৬০ শতাংশ।
বিভাগ ওয়ারী মৃতের সংখ্যা : ঢাকা বিভাগে ৫৮ জন, চট্রগ্রাম বিভাগে ২১ জন, রাজশাহী বিভাগে ১৮ জন, খুলনা বিভাগে ৬৬ জন, বরিশাল বিভাগে ৭ জন, সিলেট বিভাগে ৯ জন, রংপুর বিভাগে ১৪ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৮ জন।
গত ২৪ ঘন্টায় স্থান বিবেচনায় মৃতের সংখ্যা : সরকারি হাসপাতালে ১৬৫ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ২৩ জন, বাসায় ১২ জন, হাসপাতালে মৃতাবস্থায় আনয়ন ১জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে।
প্রকৌশল নিউজ/সু