ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান স্থাপনের সুযোগ শর্তমুক্ত রাখার আহ্বান

মসজিদ, মাদ্রাসা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান স্থাপনের সুযোগ শর্তমুক্ত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি'আতিল কওমিয়া বাংলাদেশের চেয়ারম্যান আল্লামা মাহমুদুল হাসানসহ শীর্ষ আলেমরা। সোমবার সংস্থাটির স্থায়ী কমিটির সভায় সরকারের প্রতি মসজিদ, মাদ্রাসা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান স্থাপনের সুযোগ শর্তমুক্ত ও অবারিত রাখার আহ্বান জানানো হয়।

ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান স্থাপনের সুযোগ শর্তমুক্ত রাখার আহ্বান

মসজিদ, মাদ্রাসা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান স্থাপনের সুযোগ শর্তমুক্ত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি'আতিল কওমিয়া বাংলাদেশের চেয়ারম্যান আল্লামা মাহমুদুল হাসানসহ শীর্ষ আলেমরা। সোমবার সংস্থাটির স্থায়ী কমিটির সভায় সরকারের প্রতি মসজিদ, মাদ্রাসা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান স্থাপনের সুযোগ শর্তমুক্ত রাখার আহ্বান জানানো হয়।

আল-হাইআতুল উলয়া বাংলাদেশের অফিস সম্পাদক মু. অছিউর রহমান প্রেরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়- সম্প্রতি জাতীয় একটি দৈনিকে প্রকাশিত ‘অনুমতি ছাড়া ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নয়’ শীর্ষক সংবাদে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন দেশের শীর্ষ আলেমরা।

আল-হাইআতুল উলয়ার নেতারা বলেন, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে উত্থাপিত প্রস্তাবটি নতুন মসজিদ-মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার পথ চরমভাবে সংকুচিত করবে। এতে পবিত্র ইসলাম ধর্ম ও মুসলমানরা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। প্রস্তাবটি মুসলিমসহ সব ধর্মানুসারীদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে, যা রাষ্ট্রীয় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি ঘটাতে পারে।

আল-হাইআতুল উলয়ার নেতারা মনে করেন, প্রস্তাবটি কোরআন, হাদিস, দারুল উলুম দেওবন্দের মূলনীতি এবং ‘আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি'আতিল কওমিয়া বাংলাদেশ আইন-২০১৮’ (২০১৮ সালের ৪৮নং আইন) এর পরিপন্থী। 

আল-হাইআতুল উলয়ার নেতারা বলেন, কওমি মাদ্রাসাগুলো বন্ধ থাকার কারণে বহু এতিম-গরিব ছাত্র অনাহারে কষ্ট পাচ্ছে। বহু ছাত্র ঝরে যাচ্ছে। হেফজখানা ও মক্তবের ছাত্রদের কোরআন তেলাওয়াত, শেষরাতের রোনাজারি, যিকির ও দোয়া সব বন্ধ। সভায় সরকারের কাছে কওমি মাদ্রাসা অতিদ্রুত খুলে দিয়ে ছাত্রদের শিক্ষাজীবন ধ্বংস হওয়ার হাত থেকে বাঁচানোর অনুরোধ জানানো হয়। এছাড়া কওমি মাদ্রাসার ছাত্র ও শিক্ষকদের কোভিড-১৯ এর টিকার আওতায় আনার আহ্বান জানানো হয়।   

আল-হাইআতুল উলয়ার চেয়ারম্যান আল্লামা মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- মাওলানা নূরুল ইসলাম, মুফতি রুহুল আমীন, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা আব্দুল হামীদ, মাওলানা সাজিদুর রহমান, মাওলানা আতাউল্লাহ ইবনে হাফেজ্জী, মাওলানা জিয়াউদ্দীনের প্রতিনিধি মাওলানা এনামুল হক, মাওলানা আব্দুল বছীর, মাওলানা সুলতান যওকের প্রতিনিধি মাওলানা ফুরকানুল্লাহ খলীল, মাওলানা আব্দুল হালীম বুখারীর প্রতিনিধি মাওলানা ওবায়দুল্লাহ হামজাহ, মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদের প্রতিনিধি মাওলানা ইয়াহইয়া মাহমুদ, মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ আলী, মুফতি ফয়জুল্লাহ, মাওলানা মুছলেহুদ্দীন রাজু, মাওলানা বাহাউদ্দিন জাকারিয়া, মাওলানা মুশতাক আহমদ, মাওলানা উবায়দুর রহমান মাহবুব, মাওলানা নূরুল হুদা ফয়েজী, মাওলানা মুফতি নূরুল আমীন, মাওলানা মুফতি জসিমুদ্দীন, মাওলানা শামসুল হক, মাওলানা ইউনুস, আল-হাইআতুল উলয়ার অফিস সম্পাদক মাওলানা মু. অছিউর রহমান প্রমুখ।

প্রকৌশল নিউজ/এমআরএস