কুড়িগ্রামে বন্যা : সাড়ে ১৫ হাজার হেক্টর ফসলি জমি পানির নিচে

কুড়িগ্রামে ধরলা ও ব্রহ্মপুত্রসহ সবগুলো নদনদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। নাদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নিম্নাঞ্চলসমুহের প্রায় দুই শতাধিক চর ও দ্বীপচরের প্রায় ৬০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। ফলে জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির ফের মারাত্নক অবনতি ঘটেছে।

কুড়িগ্রামে বন্যা : সাড়ে ১৫ হাজার হেক্টর ফসলি জমি পানির নিচে

কুড়িগ্রামে ধরলা ও ব্রহ্মপুত্রসহ সবগুলো নদ-নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। নাদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নিম্নাঞ্চলসমুহের প্রায় দুই শতাধিক চর ও দ্বীপচরের প্রায় ৬০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। ফলে জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির ফের মারাত্নক অবনতি ঘটেছে।

সোমবার বিকেল তিনটায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের রিডিং অনুসারে জানা যায়, ধরলা নদীর সেতু পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ৩৫ সে.মি ওপর এবং ব্রহ্মপুত্র নদে চিলমারী পয়েন্টে ২৯ সে.মি ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। 

নদীর তীরের নিম্নাঞ্চলসমুহ প্লাবিত হওয়ায় এসব এলাকার মানুষজন অনেকেই নদীর পাশে উঁচু বাঁধে এসে আশ্রয় নিতে শুরু করেছেন। এলাকার গ্রামীণ সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। কেউ কেউ কলার গাছের ভেলা বানিয়ে নিজ বাড়ি থেকে বাঁধে কিংবা অন্যত্র আসা যাওয়া করছেন। আবার অনেকের বাড়িঘরে পানি উঠায় নৌকাই তাদের এখন একমাত্র ভরসা। পানিতে সব কিছু তলিয়ে যাওয়ায় দেখা দিয়েছে খাদ্য সংকট।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক মঞ্জুরুল হক জানান, বন্যার পানির কারণে কৃষকদের রোপনকৃত ফসল রোপা আমন ও শাকসবজি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরী হয়েছে। সবশেষ জেলায় ১৫ হাজার ৫২০ হেক্টর জমির ফসল নিমজ্জিত হয়েছে। এর মধ্যে রোপা আমন ১৫ হাজার ১১৫ হেক্টর, শাকসবজি ২৭০ হেক্টর এবং বীজতলা ৯৫ হেক্টর।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম জানান, উজানের দিকে বৃষ্টিপাত নেই সেইসাথে উজান থেকে পানিও আসা কমে গেছে এবং ঢালুর দিকে পানি বেশি হওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতি হওয়ার আশা ব্যক্ত করেন।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, বর্ন্যাতদের জন্য ইতিমধ্যে নয় উপজেলায় ২৮০ মেঃটন চাউল ও নগদ ১২ লক্ষ্য টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

প্রকৌশলনিউজ/সু