নওগাঁয় ছোট যমুনা নদীতে সেতু নির্মাণের দাবি
জেলার রানীনগর ও আত্রাই উপজেলার অভ্যন্তর দিয়ে প্রেবাহিত ছোট যমুনা নদীতে ভুপনার ঘাটে একটি সেতু নির্মাণ করা হলে এ দুই উপজেলা এবং রাজশাহী জেলার বাগমারা উপজেলার শতাধিক গ্রামের প্রায় লক্ষাধিক মানুষের যাতায়াত সুবিধা বৃদ্ধি পাবে। এসব এলাকার কৃষি পণ্য পরিবহন সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় কৃষকরা তাঁদের উৎপাদিত দ্রব্যের নায্য মুল্য নিশ্চিত হবে। এখন এসব এলাকার মানুষ শুকনা মৌসুমে একটি বাঁশের সাঁকো দিয়ে এবং বর্ষা মৌসুমে একমাত্র নৌকা দিয়ে আত্রাই, রানীনগর, বাগমারাসহ নওগাঁ জেলা সদরের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেন।
নওগাঁ জেলার রানীনগর ও আত্রাই উপজেলার অভ্যন্তর দিয়ে প্রবাহিত ছোট যমুনা নদীতে ভুপনার ঘাটে একটি সেতু নির্মাণ করা হলে এ দুই উপজেলা এবং রাজশাহী জেলার বাগমারা উপজেলার শতাধিক গ্রামের প্রায় লক্ষাধিক মানুষের যাতায়াত সুবিধা বৃদ্ধি পাবে। এসব এলাকার কৃষি পণ্য পরিবহন সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় কৃষকরা তাঁদের উৎপাদিত দ্রব্যের নায্য মুল্য নিশ্চিত হবে। এখন এসব এলাকার মানুষ শুকনা মৌসুমে একটি বাঁশের সাঁকো দিয়ে এবং বর্ষা মৌসুমে একমাত্র নৌকা দিয়ে আত্রাই, রানীনগর, বাগমারাসহ নওগাঁ জেলা সদরের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেন।
বর্তমান সরকারের সকল ক্ষেত্রে অভাবনীয় উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে এ এলাকার ভুক্তভোগী মানুষ রানীনগর উপজেলার গোনা ইউনিয়ন এবং আত্রাই উপজেলার কালিক্পাুর ইউনিয়নের মাঝখানে অবস্থিত এ ভুপনার ঘাটে একটি সেতু নির্মাণের দবি জানিয়েছেন।
জেলার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত এ ছোট যমুনা নদী দুই ভাগ করেছে জেলার রাণীনগর ও আত্রাই উপজেলাকে। এ নদীর পূর্ব পাশে রাণীনগর উপজেলার গোনা, কাশিমপুর ও আত্রাই উপজেলার শাহাগোলা ইউনিয়ন এবং পশ্চিম পাশে আত্রাই উপজেলার কালিকাপুর, হাটকালুপাড়া, রানীনগর উপজেলার মিরাট, পূর্ব মান্দার কিছু গ্রাম এবং রাজশাহী জেলার বাগমারা উপজেলার কয়েকটি গ্রামের প্রায় লক্ষাধিক মানুষ প্রতিদিন প্রাত্যহিক প্রয়োজনে এ ভুপনার ঘাট দিয়ে আত্রাই, রানীনগর, বাগমারা, মান্দা উপজেলা সদরসহ নওগাঁ জেলা সদরে যাতায়ত করে থাকেন। যাতায়াতের পাশাপাশি তাঁদের উৎপাদিত ফসল পরিবহন করে থাকেন। এ ঘাঠ দিয়ে রাণীনগর উপজেলার কৃষ্ণপুর, মালঞ্চি, ঘোষগ্রাম, ভবানীপুর, মির্জাপুর, মিরাপুরসহ প্রায় ৪০টি গ্রাম, আত্রাই উপজেলার আটগ্রাম, হরপুর, বাউল্লা, তারানগর, শৈলিয়া, লালুয়া, গোন্ডগোহালীসহ প্রায় ৪৫টি গ্রাম ছাড়াও বাগমারা ও মান্দা উপজেলার কয়েকটি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ প্রতিদিন এই ভুপনার ঘাট দিয়ে ছোট যমুনা নদী পারাপারে একমাত্র উপায় শুকনো মৌসুমে বাঁশের সাঁকো আর বর্ষা মৌসুমে নৌকায় করে যাতায়াত করে থাকেন। এ ছাড়াও প্রতিদিন কয়েক হাজার শিক্ষার্থী তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়ত করে থাকে।
রাণীনগর উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের মোঃ আনিছুর রহমান, মোবারক হোসেন, ঘোষগ্রামের বাসিন্দা শহীদুল ইসলাম, গোনা ইউনিয়নের মোঃ শরিফুল ইসলামসহ অনেকেই বলেছেন তাঁদের পিতা, পিতামহসহ তাঁদের জীবন কেটে গেল কেটে গেলো বাঁশের সাঁকো আর নৌকা করে নদী পার হয়ে। তাঁরা বলেছেন বর্তমান সরকার সারাদেশে যোগাযোগ, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ সকল ক্ষেত্রে ব্যপক উন্নয়ন সাধন করেছে। সেই আলোকে আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে ভুপনার ঘাটে একটি সেতু নির্মাণ করার যৌক্তিক দাবি করছি।
আত্রাই উপজেলার আটগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি শিক্ষক শহীদুল ইসলাম বলেন আত্রাই-রানীনগর আসনের প্রয়াত সংসদ সদস্য প্রয়াত মোঃ ইসরাফিল আলম এখানে একটি ব্রিজ নির্মাণের প্রাথমিক অনুমোদন দিয়েছিলো একনেক। ব্রিজ নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ১০-১২বার ঘাটে এসে প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজও করে গেছেন।
নওগাঁ’র স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মাকছুদুল আলম বলেছেন বিষয়টি সম্পর্কে দাপ্তরিকভাবে অবগত রয়েছেন তিনি। এ ব্যপারে একটি কর্মপরিকল্পনা উর্ধতন কর্ত্তৃপক্ষের নিকট প্রেরন করা রয়েছে। প্রয়োজনীয় নির্দেশনা পেলেই সেখানে একটি সেতু নির্মাণ কার্যক্রম শুরু করা হবে।
সূত্র: বাসস