নিজেদের খাদ্য নিজেরাই উৎপাদন করতে হবেঃ কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বললেন, আমাদের প্রয়োজনীয় খাদ্য আমাদেরই উৎপাদন করতে হবে। চলমান করোনার কারণে যদি খাদ্যসংকট, তাহলে আমাদের হাতে টাকা থাকলেও খাদ্য পাওয়া কঠিন হবে, অনেকক্ষেত্রে পাওয়াই যাবে না।
বাংলাদেশ আগেই খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণ হয়েছে। এখন কাজ হচ্ছে এটা ধরে রাখা। বিশেষ করে করোনাকালীন সময়ে এবং এর পরবর্তী সময়ে খাদ্যের সংকট যেন না হয় সে দিকেই এখন নজর সরকারের। বিশেষ করে দেশের মধ্যে উৎপাদনশীল খাদ্য সামগ্রী যেন বিদেশ থেকে আমদানি কম করতে হয় সে দিকেই সর্বাধিক গুরুত্ব সরকার ও মন্ত্রনালয়ের।
তাই তো কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বললেন, আমাদের প্রয়োজনীয় খাদ্য আমাদেরই উৎপাদন করতে হবে। চলমান করোনার কারণে যদি খাদ্যসংকট, তাহলে আমাদের হাতে টাকা থাকলেও খাদ্য পাওয়া কঠিন হবে, অনেকক্ষেত্রে পাওয়াই যাবে না।
রোববার কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সাথে ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষ্যে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, খাদ্য নিরাপত্তায় মূল চ্যালেঞ্জ হলো আমাদের জনসংখ্যা প্রতিবছর ২২-২৩ লাখ বৃদ্ধি পাচ্ছে; অথচ নানান কারণে চাষযোগ্য জমি কমে যাচ্ছে। এই সীমিত জমি থেকেই মানুষের খাদ্য এবং প্রাণি ও পোল্ট্রির ফিডের যোগান দিতে হবে। সেজন্য কৃষি বিভাগের সকলকে আরও আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করার আহ্বান জানান কৃষিমন্ত্রী।
কর্মকর্তাদের মাঠ পর্যায়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, আপনারা শুধু মন্ত্রণালয়ে বসে থেকে গতানুগতিক কাজ করলে হবে না বরং মাঠ পর্যায়ে নিয়মিত পরিদর্শনে যান। দেশের কোন এলাকায় কী চাষ করার অধিকতর সম্ভাবনা আছে তা চিহ্নিত করে পুরোপুরি কাজে লাগান। যাতে করে কৃষি উৎপাদন আরও বাড়ানো যায়। নতুন সম্ভাবনা নিয়ে কৃষকদের অবহিত করুন।
এপিএ সম্পাদনে পরপর দুই বার কৃষি মন্ত্রণালয় ২য় স্থান অর্জন করায় সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে মন্ত্রী আরও বলেন, এই সাফল্যের পরও আমাদের সকলকে আরও তৎপর থাকতে হবে, এপিএ বাস্তবায়নে নিষ্ঠাবান হতে হবে।
উল্লেখ্য, কৃষি মন্ত্রণালয় এবার ২০১৯-২০ অর্থবছরে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির (এপিএ) বাস্তবায়নে ২য় স্থান অর্জন করেছে। পরপর দুই বার কৃষি মন্ত্রণালয় এপিএ সম্পাদনে ৫১টি মন্ত্রণালয়/বিভাগের মধ্যে ২য় স্থান অর্জন করে।
এসময় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) মো: হাসানুজ্জামান কল্লোল, অতিরিক্ত সচিব (পিপিসি) ড. মোঃ আবদুর রৌফ, অতিরিক্ত সচিব (সার ব্যবস্থাপনা ও উপকরণ) মো: মাহবুবুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব (গবেষণা) কমলারঞ্জন দাশ, মহাপরিচালক (বীজ) বলাই কৃষ্ণ হাজরা ও অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।