নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত, সাগরে ২ নম্বর সংকেত
বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি উত্তর-পশ্চিমে সরে শক্তিশালী হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেওয়া হয়েছে জাওয়াদ। ঝড়ের কেন্দ্রে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রস্থলের কাছে সাগর উত্তাল থাকায় দেশের সমুদ্র বন্দরগুলোকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুশিয়ারি সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি উত্তর-পশ্চিমে সরে শক্তিশালী হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেওয়া হয়েছে জাওয়াদ। ঝড়ের কেন্দ্রে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রস্থলের কাছে সাগর উত্তাল থাকায় দেশের সমুদ্র বন্দরগুলোকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুশিয়ারি সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে সাবধানে চলাচল করার।
এদিকে বাংলাদেশের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী ৭২ ঘণ্টা বা তিন দিনে দেশে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
ভারতের আবহাওয়া অফিসের তথ্য বলছে, ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের বর্তমান গতিধারা অব্যাহত থাকলে এটি আরও শক্তিশালী হয়ে শনিবার প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।
ভারতের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বর্তমান অবস্থান থেকে উত্তর উত্তরপশ্চিমে এগিয়ে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ এবং ওড়িষার মাঝামাঝি এলাকায় উপকূলের কাছে পৌঁছে উত্তর উত্তর-পূর্ব দিকে বাঁক নিতে পারে। এরপর উপকূল ধরে এগিয়ে শনিবার মধ্যরাত নাগাদ ওড়িষা রাজ্যের পুরি উপকূলের কাছাকাছি পৌঁছতে পারে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ। এরপর এটি আরও উত্তর উত্তর-পূর্বে পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের দিকে এগিয়ে যেতে পারে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকাসহ সুন্দরবন, সাতক্ষীরাসহ আশেপাশের এলাকায় তীব্র ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে। ইতোমধ্যে ভারতে বৃষ্টি শুরু হয়েছে, বাংলাদেশের আকাশ এখন মেঘলা। সন্ধ্যার পর উপকূলীয় কিছু কিছু এলাকায় বৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও আশেপাশের এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে একই এলাকায় ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’-এ পরিণত হয়েছে। এটি সকালে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ছিল ১ হাজার ২৩০ কিলোমিটার দূরে, এখন তা আরও একটু এগিয়ে ১ হাজার ১০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে। একইভাবে কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ছিল ১ হাজার ১৬৫ কিলোমিটার, এখন ১ হাজার ৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে; মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ছিল ১ হাজার ১৬০ কিলোমিটার, এখন ৯৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ছিল ১ হাজার ১৩৫ কিলোমিটার, এখন ৯৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে। এটি আরও ঘণীভূত হয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।
ঝড়ের কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।
এ জন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
একইসঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করার জন্যও বলা হয়েছে।