ওমিক্রনের বিরুদ্ধে লড়তে হবে টিকায় : ডাব্লিউ এইচ ও
সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত হওয়া করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ‘ওমিক্রন’ এর বিরুদ্ধে লড়তে স্বাস্থ্যসেবার সক্ষমতা ও টিকাদানের ওপর গুরুত্বারোপ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউ এইচ ও)। ওমিক্রন ঢেউ ঠেকাতে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা একক কোনো সমাধান নয় বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত হওয়া করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ‘ওমিক্রন’ এর বিরুদ্ধে লড়তে স্বাস্থ্যসেবার সক্ষমতা ও টিকাদানের ওপর গুরুত্বারোপ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউ এইচ ও)। ওমিক্রন ঢেউ ঠেকাতে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা একক কোনো সমাধান নয় বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওয়েস্টার্ন প্যাসিফিক ডিরেক্টর তাকেশি কাসাই ম্যানিলায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।
তাকেশি কাসাই ম্যানিলায় বলেছেন, সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ দেশগুলোর জন্য সময়ক্ষেপণ ছাড়া কিছুই নয়। শুধু সীমান্ত বন্ধের পদক্ষেপের ওপর নির্ভর করা উচিত নয়। এই ভ্যারিয়েন্টের সম্ভাব্য উচ্চ সংক্রমণযোগ্যতা রয়েছে। করোনার নতুন ঢেউ ঠেকাতে প্রতিটি দেশকে প্রস্তুত থাকতে হবে।
অপেক্ষাকৃত কম সুরক্ষিত গোষ্ঠীকে সম্পূর্ণভাবে টিকার আওতায় নিয়ে আসতে এবং মাস্ক পরিধান ও সামাজিক দূরত্ব মানার মতো প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিশ্চিতে দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তাকেশি কাসাই ম্যানিলায়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গবেষকরা ওমিক্রনকে উদ্বেগজনক ধরন হিসেবে বিবেচনা করছেন। তারা এর তীব্রতা এবং সংক্রমণযোগ্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে এখন পর্যন্ত তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করছেন।
উচ্চ ঝুঁকিসম্পন্ন আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলের দেশগুলোতে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিয়ে এবং সীমান্ত বন্ধ করেও করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের কমিউনিটি ট্রান্সমিশন থেকে রক্ষা পায়নি অস্ট্রেলিয়া। এর এক দিন আগেই যুক্তরাষ্ট্রের পাঁচটি রাজ্যে ওমিক্রনে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (০২ ডিসেম্বর) ভারতে করোনার নতুন ধরন 'ওমিক্রন' শনাক্ত হওয়ায় এখন পর্যন্ত বিশ্বের ২৫টি দেশে এই ধরনটির সন্ধান মিলেছে।