ভিডিও ফাঁসের ভয় দেখিয়ে বারবার ধর্ষণ
সন্তানকে নিয়ে স্বামী পালিয়ে গেছেন। আদরের সন্তানকে ফিরে পেতে মা প্রায় পাগল। বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়ে শেষে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেন। তখনই প্রতারক মো. সোহাগ দেওয়ানের খপ্পরে পড়েন। প্রভাবশালী পরিচয়দানকারী এই প্রতারকের খপ্পরে পড়ে নারীরা ধর্ষণ ও ব্ল্যাকমেইলিংয়ের শিকার হন। এ ঘটনায় প্রতারক মো. সোহাগ দেওয়ানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
সন্তানকে নিয়ে স্বামী পালিয়ে গেছেন। আদরের সন্তানকে ফিরে পেতে মা প্রায় পাগল। বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়ে শেষে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেন। তখনই প্রতারক মো. সোহাগ দেওয়ানের খপ্পরে পড়েন। প্রভাবশালী পরিচয়দানকারী এই প্রতারকের খপ্পরে পড়ে নারীরা ধর্ষণ ও ব্ল্যাকমেইলিংয়ের শিকার হন। এ ঘটনায় প্রতারক মো. সোহাগ দেওয়ানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
শুক্রবার সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর জানান, মুগদা থানার একটি মামলায় তদন্ত করতে গিয়ে দেওয়ানের সংশ্লিষ্টতা পায় পুলিশ। বৃহস্পতিবার ভোরে যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। দেওয়ানকে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে।
সিআইডি সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের এপ্রিল মাসে সন্তান নিখোঁজ হওয়ার পর মা দিশেহারা হয়ে পড়েন। সন্তানকে ফিরে পেতে সম্ভাব্য সব জায়গাতেই খোঁজাখুঁজি করেন। পরে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেন এবং তার সঙ্গে যোগাযোগের জন্য ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটি দেন। প্রতারক দেওয়ান হতভাগ্য সেই নারীর সঙ্গে যোগাযোগ করে। দেওয়ান নিজেকে ক্ষমতাবান ও উচ্চ পর্যায়ে ভালো যোগাযোগ আছে, তার নিখোঁজ সন্তানকে ফিরিয়ে দিতে পারবে, এমন আশ্বাস দেয়। নিখোঁজ সন্তানকে ফিরে পেতে সেই নারী দেওয়ানকে কয়েক লাখ টাকাও দেন। যখন দেওয়ান সন্তানকে ফিরে এনে দিতে পারছিল না তখন ওই নারী টাকা ফেরত চান। দেওয়ান টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলে তাকে সবুজবাগের দোনারবাদ এলাকার বাসায় যেতে বলে। সন্তান পেতে ব্যাকুল ওই মা দেওয়ানের বাসায় যান। তাকে সেখানে চেতনানাশক কিছু খাইয়ে ধর্ষণ করে ভদ্রবেশী দেওয়ান। সেই ধর্ষণ দৃশ্য ভিডিওতে ধারণ করে দেওয়ান। জ্ঞান ফিরে এলে ওই নারী লোক চক্ষুর লজ্জায় বাসা থেকে চলে আসেন। তবে এখানেই থেমে থাকেনি প্রতারক দেওয়ানের কুকীর্তি। ভিডিও ফাঁস করার ভয় দেখিয়ে ওই নারীকে সে বিভিন্ন সময় ধর্ষণ করে আসছিল। ভয়-ভীতিও দেখাতে থাকে।
ওই নারী বাধ্য হয়ে মুগদা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর থেকে দেওয়ান আত্মগোপনে চলে যায়।
সিআইডি তদন্ত সংশ্লিষ্টরা আরো বলছে, দেওয়ান ভদ্রবেশী প্রতারক। একেক সময় একেক রূপ ধারণ করে। বিভিন্ন জায়গায় নিজেকে উচ্চপর্যায়ের ও ক্ষমতাবান ব্যক্তি হিসেবে পরিচয় দিয়ে নানা ধরনের প্রতারণামূলক কাজ করে আসছিল সে। প্রযুক্তির সহযোগিতা নিয়ে তার অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার পরই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে।
প্রকৌশল নিউজ/এমআরএস