নৌকায় নববধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, ছড়িয়ে দেওয়া হলো ভিডিও
স্বামীর সঙ্গে বাড়ির পাশের হাওরে নৌকাভ্রমণে যাওয়া এক নববধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও এর ভিডিও ধারণ করে টাকা দাবি করে না পাওয়ায়, ওই ভিডিও এলাকার যুবকদের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
স্বামীর সঙ্গে বাড়ির পাশের হাওরে নৌকাভ্রমণে যাওয়া এক নববধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও এর ভিডিও ধারণ করে টাকা দাবি করে না পাওয়ায়, ওই ভিডিও এলাকার যুবকদের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
গত বুধবার (২৫ আগস্ট) হবিগঞ্জের লাখাই হাওরে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের এই ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার ঘটনার ৭ দিন পর নববধূর স্বামী বাদী হয়ে হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এ আট জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।
বিচারক জিয়াউদ্দিন মাহমুদ মামলাটি আমলে নিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এফআইআর করতে লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার আসামি হলো- লাখাই উপজেলার মোড়াকড়ি গ্রামের খোকন মিয়ার ছেলে মুছা মিয়া (২৬), ইব্রাহীম মিয়ার ছেলে মিঠু মিয়া (২১), পাতা মিয়ার ছেলে হৃদয় মিয়া (২২), বকুল মিয়ার ছেলে সুজাত মিয়া (২৩), মিজান মিয়ার ছেলে জুয়েল মিয়া (২৫), ইকবাল হোসেনের ছেলে সোলায়মান রনি (২২), ওয়াহাব আলীর ছেলে মুছা মিয়া (২০), রুকু মিয়ার ছেলে শুভ মিয়া (১৯)।
আসামি সোলায়মান রনি উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। ধর্ষণের ঘটনায় তিন আসামিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। গ্রেফতারকৃতরা হলো রনি, মিঠু ও রাজ। এদিকে এ ঘটনায় গ্রেপ্তার আসামির নাম পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানায়নি র্যাব।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট হাফিজুল ইসলাম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এক মাস আগে তাদের বিয়ে হয়। গত ২৫ আগস্ট দুপুরে বাড়ির পাশের হাওরে তারা নৌকাভ্রমণে যান। নৌকায় নবদম্পতি, তাদের এক বন্ধু ও মাঝি ছিলেন। সে সময় আরেকটি নৌকায় করে গ্রামের ৮ যুবক তাদের নৌকার গতিরোধ করে। তাদের নৌকায় উঠে ওই যুবকরা তাকে ও তার বন্ধুকে মারধর করে আটকে রাখে। এরপর তার স্ত্রীকে পাশের নৌকায় তুলে নিয়ে দলবেধে ধর্ষণ করে। এ সময় মোবাইল ফোনে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে রাখা হয়। ধর্ষণের বিষয়টি কাউকে জানালে ওই ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেন যুবকরা। এ কারণে বিষয়টি এত দিন গোপন রেখেছিলেন তিনি।
ঘটনার চার দিন পর ওই যুবকরা ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে তাদের কাছে টাকা দাবি করে বলে জানান নববধূর স্বামী। টাকা না দেওয়ায় এলাকার কয়েকজনের কাছে ভিডিওটি ছড়িয়ে দেয় ওই যুবকরা। এর মধ্যে তার স্ত্রীর শারীরিক অবস্থাও খারাপ হতে থাকে। এরপর তিনি স্ত্রীকে বুধবার হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ ব্যাপারে লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে। দ্রুতই তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।
প্রকৌশলনিউজ/সু