পরিবহন চালুর দাবিতে অবস্থান কর্মসূচিতে মালিক-শ্রমিক
দূরপাল্লার বাস চলাচলের অনুমতি না দেওয়ায় ঈদুল ফিতরের দিন রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে বাস ও ট্রাক টার্মিনালে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছেন সড়ক পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা। তারা সব ধরনের দুরপাল্লার পরিবহন চালু, প্রণোদনা ঋণ, শ্রমিক সহযোগিতা,কাগজপত্র রিনিউ করতে সময় বৃদ্ধিসহ ৫ দফা দাবিতে এই কর্মসূচী শুরু করেছে।
দূরপাল্লার বাস চলাচলের অনুমতি না দেওয়ায় ঈদুল ফিতরের দিন রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে বাস ও ট্রাক টার্মিনালে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছেন সড়ক পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা। তারা সব ধরনের দুরপাল্লার পরিবহন চালু, প্রণোদনা ঋণ, শ্রমিক সহযোগিতা, কাগজপত্র রিনিউ করতে সময় বৃদ্ধিসহ ৫ দফা দাবিতে এই কর্মসূচী শুরু করেছে।
শুক্রবার (১৪ মে) সকাল ১০টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত তাদের এ কর্মসূচি ছিল। ঈদুল ফিতরের দিন সবাই যখন আনন্দে মেতে উঠেছেন, তখন পরিবহন খাতের মালিক ও শ্রমিকরা দাবি আদায়ে অবস্থান নিয়েছেন।
সকাল ১০টায় রাজধানীর সায়দাবাদ বাস টার্মিনাল, গাবতলী এবং মহাখালী বাস টার্মিনাল ভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছেন আন্তঃজেলা ও নগর বাস টার্মিনাল শ্রমিক কমিটি।
কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া নেতারা বলেন, করোনায় লকডাউনে মার্কেট, শপিং মলসহ সব কিছু খুলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু গণপরিবহন চালুর ক্ষেত্রে নানা তালবাহানা চলছে। কর্মহীন হয়ে আমাদের শ্রমিকরা না খেয়ে দিন কাটাচ্ছেন। আমরা কর্ম চাই। স্বাস্থ্যবিধি মেনে গাড়ি চালাতে চাই।
তারা বলেন, লকডাউনে সব পরিবহন চলছে। ফেরিতে হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করছে। পদদলিত হয়ে মানুষ মারা যাচ্ছে। তাহলে বাস চলাচল কেন বন্ধ? আমরা ঈদের দিন আনন্দ না করে রাস্তায় অবস্থান কর্মসূচি করছি। আমরা পেটের ক্ষুধায় রাস্তায় নেমেছি। আমাদের পাঁচ দফা যৌক্তিক দাবি মানতে হবে।
পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের ৫ দাবি
১. স্বাস্থ্যবিধি মেনে মোট আসনের অর্ধেক যাত্রী নিয়ে দূরপাল্লার পরিবহনসহ সব গণপরিবহন এবং স্বাভাবিক পণ্যবাহী পরিবহন চলাচলের সুযোগ দিতে হবে।
২. লকডাউনের কারণে কর্মহীন সড়ক পরিবহন শ্রমিকদের ঈদের আর্থিক অনুদান ও খাদ্য সহায়তা প্রদান করা লকডাউনে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় মালিকদের যানবাহন মেরামত, কর্মচারী ও শ্রমিকের বেতন, ভাতা ও ঈদ বোনাস ইত্যাদি দেওয়ার জন্য নামমাত্র সুদ ও সহজ শর্তে পাঁচ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা দিতে হবে।
৩. সারা দেশে বাস ও ট্রাক টার্মিনালগুলোতে পরিবহন শ্রমিকদের জন্য ঈদের পূর্বে ও পরে ১০ টাকায় ওএমএসের চাল বিক্রির ব্যবস্থা করা।
৪. কোভিড-১৯ এর কারণে গণপরিবহন ব্যবসায় অর্থ বিনিয়োগের বিপরীতে সব ব্যাংক ঋণ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ঋণ ও ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের ঋণের সুদ মওকুফসহ কিস্তি চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থগিত করা। পাশাপাশি ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট নিয়ে শ্রেণিকৃত ঋণগুলাতে নিয়মিত করার সুযোগ দিতে হবে।
৫. লকডাউনে বন্ধ থাকার সময় গাড়ির ট্যাক্স-টোকেন, রুট পারমিট ফি, আয় করসহ সব ধরনের ফি, কর ও জরিমানা মওকুফ করে ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ পর্যন্ত কাগজপত্র হালনাগাদের সুযোগ দিতে হবে।