পরীমণির বাসায় র‌্যাবের অভিযান

ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনির বনানীর বাসায় অভিযান চালাচ্ছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। তবে অভিযানের আগে লাইভে এসে পরীমনি সাংবাদিক ও পুলিশের সহযোগিতা চাইলেন এবং দাবি করেন তার বাসায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নাম করে কেউ হামলা চালাচ্ছে।

পরীমণির বাসায় র‌্যাবের অভিযান

বাংলা সিনেমার গ্ল্যামার গার্ল খ্যাত আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমণির বনানীর বাসায় অভিযান চালাচ্ছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। তবে অভিযানের আগে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লাইভে এসে পরীমণি সাংবাদিক ও পুলিশের সহযোগিতা চাইলেন এবং দাবি করেন তার বাসায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নাম করে কেউ হামলা চালাচ্ছে।

বুধবার (৪ আগস্ট) বিকালে এ অভিযান চালানো হয় বলে র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক খন্দকার আল মঈন নিশ্চত করেছেন। তিনি বলেন, সুনির্দিষ্ট কিছু অভিযোগের ভিত্তিতে চিত্রনায়িকা পরীমণির বাসায় র‍্যাব অভিযান পরিচালনা করছে। অভিযান শেষে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানানো হবে।

পরীমণি লাইভে বলেন, আমি মরব আর কেউ কিছু বলবে না? মরতে তো একদিন হবেই। আমি এই লাইভ কাটব না। যতক্ষণ না থানা থেকে পুলিশ আসবে, মিডিয়া আসবে ততক্ষণ লাইভ চলবে। ভাই আপনারা কেউ বুঝতে পারছেন আমার অবস্থা? এইখানে কাছেই থানা। অথচ তারা আসছে না। আমার তো তাদের হেল্প লাগবে। তিনদিন ধরে আমি বিছানা থেকে উঠতে পারছি না। আমার পরিচিতরা কই। একটু আসবেন দেখবেন? এরা কারা? ভাঙচুর করছে। এসব আল্লাহ সহ্য করবে না। আপনারা কত মানুষ এই লাইভ দেখছেন। কেউ কিছু বলছেন না। আমার বাসায় আমার বুড়ো নানা এসেছেন। আপানারা মিডিয়ার কেউ আসবেন? আমি তো মরে যাচ্ছি। 

লাইভে দেখা যায়, তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় নিশ্চত হওয়ার পর দরজা খুলেছেন। ততক্ষণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বাসার সবার মোবাইল ফোন জব্দ করেছে। পাশাপাশি পরীমণির লাইভ বন্ধ করার জন্য বলেন। পরে তিনি লাইভ বন্ধ করেন। 

গত জুন মাসে রাজধানীর একটি ক্লাবে পরীমণিকে হেনস্তা করার অভিযোগ ওঠে নাসির ইউ আহমেদসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে। সে অভিযোগও তিনি ফেসবুক লাইভে এসে জানান। এরপর তা আমলে নেয় প্রশাসন। পরবর্তী সময়ে পরীর মামলার পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়। যদিও প্রধান অভিযুক্ত নাসির গ্রেফতারের কয়েক দিন পরই জামিনে মুক্তি পেয়ে যান।