পিঠে অক্সিজেন বেঁধে স্ত্রীকে নিয়ে গেলেন হাসপাতালে

মোটরসাইকেলে বসে নিজের পিঠের সাথে বাঁধলেন অক্সিজেন সিলিন্ডার। এরপর স্ত্রীকে বসালেন। সিলিন্ডার থেকে স্ত্রীর মুখে অক্সিজেন নেওয়ার ব্যবস্থা করলেন।

পিঠে অক্সিজেন বেঁধে স্ত্রীকে নিয়ে গেলেন হাসপাতালে

মোটরসাইকেলে বসে নিজের পিঠের সাথে বাঁধলেন অক্সিজেন সিলিন্ডার। এরপর স্ত্রীকে বসালেন। সিলিন্ডার থেকে স্ত্রীর মুখে অক্সিজেন নেওয়ার ব্যবস্থা করলেন।

এরপর মোটরসাইকেল চালিয়ে শনিবার সন্ধ্যায় বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আসলেন। এমন একটি ছবি শনিবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার সূর্যখালী গ্রামের হাকিম মোল্লার স্ত্রী রেহেনা বেগম (৫৮) জ্বর ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। এটা করোনা সংক্রমণের উপসর্গ। ফলে দ্রুত তাকে হাসপাতালে নেওয়া দরকার।

কিন্তু চলমান কঠোর লকডাউনের কারণে যানবাহন চলাচল বন্ধ। আবার জরুরি ভিত্তিতে অ্যাম্বুলেন্সও পাওয়া যাচ্ছিলো না। তাই একটা উপায় বের করলেন হাকিম মোল্লা। নিজের মোটরসাইকেলে বসে হাকিম মোল্লা তার পিঠের সাথে অক্সিজেনের সিলিন্ডার বেঁধে স্ত্রীকে বসান।

সিলিন্ডার থেকে স্ত্রীর মুখে অক্সিজেন নেওয়ার ব্যবস্থা করার পর মোটরসাইকেল চালিয়ে শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এসে স্ত্রী রেহেনা বেগমকে করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি করেন।

মোটরসাইকেলটি হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে কেউ ছবিটি ধারণ করে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছেড়ে দিলে মুহুর্তের মধ্যে তা ভাইরাল হয়। এমন ছবিটিকে অনেকে হৃদয়বিদারক বলে অভিহিত করেছেন।

শেবাচিম হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডাঃ এসএম মনিরুজ্জামান শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে এগারোটার দিকে জানান, বর্তমানে রেহেনা বেগমের অবস্থা ভালো।

হাকিম মোল্লা বলেন, রেহেনা জ্বর ও শ্বাসকষ্টে কষ্ট পাচ্ছিলো। লকডাউনে যানবাহনও চলছে না। আর জরুরি ভিত্তিতে অ্যাম্বুলেন্সও না পাওয়ায় তিনি এ উপায় বের করেছেন।

শেবাচিম হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডাঃ এসএম মনিরুজ্জামান বলেন, রেহেনা বেগমকে সেন্ট্রাল অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে। প্রয়োজনে হাইফ্লোর মেশিনের সাহায্য নেওয়া হবে।

প্রকৌশল নিউজ/প্রতিনিধি