বাঁশখালীতে নিহতদের পরিবারকে ৫ লাখ টাকা করে দিতে নির্দেশ
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের নিহত ৫ জনের পরিবারকে আপাতত ৫ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে এস আলম গ্রুপকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে জেলা প্রশাসন এবং পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদন তলব করেছেন আদালত। ৪৫ দিনের মধ্যে এ রিপোর্ট দাখিল করতে বলা হয়েছে।
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের নিহত ৫ জনের পরিবারকে আপাতত ৫ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে এস আলম গ্রুপকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে জেলা প্রশাসন এবং পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদন তলব করেছেন আদালত। ৪৫ দিনের মধ্যে এ রিপোর্ট দাখিল করতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার পৃথক রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
নিহত শ্রমিকদের আপাতত ৫ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে এস আলমের আইনজীবী জানিয়েছেন তিন লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে।
রুলে এ ঘটনার তদন্তে বিচারিক অসুন্ধান কমিটি কেন গঠন করা হবে না এবং নিহত শ্রমিকদের পরিবার প্রতি ৩ কোটি এবং আহতদের পরিবার প্রতি ২ কোটি টাকা করে কেন ক্ষতিপূরণ প্রদান নয় তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে।
আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, ওই এলাকার কোনো শ্রমিক এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের যেন কোনো ধরনের হয়রানি না করা হয়। আদালত আরও জানতে চেয়েছেন, গত ১৭ এপ্রিলের ঘটনায় যথাযথ ব্যবস্থা নিতে এবং আহতদের পরিবারের পরবর্তী সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জেডআই খান পান্না, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ও সৈয়দা নাসরিন। এস আলম গ্রুপের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আরশাদুর রউফ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দু কুমার রায় ও বিপুল বাগমার।
এর আগে আইন ও সালিস কেন্দ্রসহ মোট ৬টি সংগঠন রিট দুটি দায়ের করে। অন্য ৫টি সংগঠন হলো—বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা), বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট), নিজেরা করি, সেফটি অ্যান্ড রাইটস এবং অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রির্ফম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এএলআরডি)।
গত ১৭ এপ্রিল সকালে বাঁশখালীর গণ্ডামারা ইউনিয়নের পশ্চিম বড়ঘোনায় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হন। আহত হন অনেক শ্রমিক। এ ঘটনায় বাঁশখালী থানায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে।
নিহতরা হলেন—শুভ (২৩), রাহাত (২৪), আহমদ রেজা (১৯), রনি হোসেন (২২) ও রায়হান (২০)। পরবর্তীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২১ এপ্রিল মো. শিমুল (২৩) নামে আহত এক শ্রমিক মারা যান।
বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিউল কবীর জানান, শনিবারের ঘটনায় পুলিশ ও বিদ্যুৎকেন্দ্রের সমন্বয়ক ফারুক আহমেদ বাদী হয়ে দুটি মামলা করেছে। পুলিশের মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় দুই থেকে আড়াই হাজার জনকে এবং বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সমন্বয়কের করা মামলায় ২২ জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৪০-৫০ জনকে আসামি করা হয়।