আমেরিকায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করলেন বাইডেন!
আমেরিকায় জরুরি অবস্থা জারি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বড় একটি জ্বালানি সরবরাহ লাইনে সাইবার হামলার পর এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
আমেরিকায় জরুরি অবস্থা জারি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বড় একটি জ্বালানি সরবরাহ লাইনে সাইবার হামলার পর এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
গত শুক্রবার সরবরাহ লাইনে সাইবার হামলার পর সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানটি তাদের কার্যক্রম বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়। মার্কিন গোয়েন্দাদের ধারণা, অর্থ আদায়ের উদ্দেশেই পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী এই সাইবার হামলা চালানো হয়েছে।
এর প্রেক্ষিতে রোববার (৯ মে) এই জরুরি অবস্থা জারি করেন বাইডেন। হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র জানান, সাইবার হামলার বিষয়টি শনিবার সকালেই প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে জানানো হয়। সংস্থাটি যাতে দ্রুত সমস্যা মিটিয়ে জ্বালানির সরবরাহ অব্যাহত রাখতে পারে, সেই বিষয়েও সচেষ্ট রয়েছে বাইডেন প্রশাসন।
জরুরি অবস্থা জারি করার কারণে এখন সড়কপথে জ্বালানি তেল সরবরাহ করতে পারবে সংস্থাটি। তবে জ্বালানি সরবরাহের এই পাইপলাইনে সাইবার হামলার পেছনে কোনো দেশ নয় বরং একটি ‘সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্র’ জড়িত বলে ধারণা করছেন কর্মকর্তারা।
শুক্রবার হামলার পরেই সাময়িকভাবে কাজকর্ম বন্ধ রাখে কলোনিয়াল পাইপলাইন। এর পাশাপাশি সংস্থাটি জানিয়েছে, কীভাবে এমনটা ঘটল এবং ভবিষ্যতে কোন পদ্ধতিতে এর পুনরাবৃত্তি এড়ানো যায়, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জ্বালানি সরবরাহ থমকে যাওয়ায় গ্যাসোলিন পাম্পগুলোতে মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সোমবার জ্বালানি তেলের মূল্য ২ থেকে ৩ শতাংশ বেড়ে যেতে পারে। পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে যদি এই অচলাবস্থা আরও দীর্ঘায়িত হয়।
মার্কিন গণমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি অবকাঠামোর সাইবার নিরাপত্তা যে ভয়াবহ ঝুঁকির মুখে রয়েছে, এই হামলার ঘটনার মধ্য দিয়ে তা ফুটে উঠেছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, হামলার শিকার ওই প্রতিষ্ঠানটির নাম কলোনিয়াল পাইপলাইন। হামলার পর তথ্য চুরি ঠেকাতে প্রতিষ্ঠানটি পূর্ব উপকূলে যাওয়া জ্বালানির ৪৫ শতাংশ সরবরাহকারী সাড়ে পাঁচ হাজার মাইল দীর্ঘ লাইন বন্ধ করে রাখে।
প্রতিষ্ঠানটি তাদের পাইপলাইনের মাধ্যমে প্রতিদিন ২৫ লাখ ব্যারেল জ্বালানি তেল পরিবহন করে। এর বেশিরভাগই ডিজেল, গ্যাসোলিন এবং জেট ফুয়েল। যা আমেরিকার পূর্ব উপকূলে প্রয়োজনীয় মোট জ্বালানির প্রায় ৪৫ শতাংশ। সূত্র : বিবিসি