জঙ্গি কার্যক্রম এখন নেটভিত্তিক : ডিএমপি কমিশনার
আজ ১ জুলাই গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে সন্ত্রাসী হামলার ট্র্যাজেডির পাঁচ বছরে পদার্পনে নিহত দেশী-বিদেশীদের গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোহাঃ শফিকুল ইসলাম। এসময় তিনি মন্তব্য করেছেন, দেশ ও দেশের বাইরে জঙ্গি গোষ্ঠীর কার্যক্রম নেটভিত্তিক।
আজ ১ জুলাই গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে সন্ত্রাসী হামলার ট্র্যাজেডির পাঁচ বছরে পদার্পনে নিহত দেশী-বিদেশীদের গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোহাঃ শফিকুল ইসলাম। এসময় তিনি মন্তব্য করেছেন, দেশ ও দেশের বাইরে জঙ্গি গোষ্ঠীর কার্যক্রম নেটভিত্তিক।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে গুলশান থানার সামনে স্থাপিত (এসি রবিউল ও ওসি সালাউদ্দিনের) ভাস্কর্যে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার।
আরও শুভেচ্ছা জানান র্যাবের মহাপরিচালক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন ও বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস এসোসিয়েশনের সভাপতি এসব প্রধান মোঃ মনিরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ আসাদুজ্জামান।
২০১৬ সালের ১লা জুলাই আজকের এই দিনে গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারীতে সন্ত্রাসীরা ভয়াবহ হামলা চালায়। এতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের দুই কর্মকর্তাসহ দেশী-বিদেশী ২২ জন নিরীহ নাগরিক নিহত হন।
এই সন্ত্রাসী হামলা প্রতিহত করতে গিয়ে অকালে আত্মত্যাগ করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের দুই নির্ভীক কর্মকর্তা সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার মোঃ রবিউল করিম ও বনানী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সালাহ উদ্দিন খান।
জঙ্গি তৎপরতা নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, জঙ্গিরা এখন কেবলমাত্র বাংলাদেশেই শুধু নয় সারাবিশ্বে তারা নেটভিত্তিক হয়ে গেছে। সাইবার ওয়ার্ল্ড এর মাধ্যমে তারা তাদের প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছে। এর মাধ্যমে তারা রিক্রুটিংও করার চেষ্টা করছে। এমনকি তারা ভার্চুয়াল সাইটকে ব্যবহার করে প্রশিক্ষণও দিচ্ছে। তবে আমাদের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাসহ ডিএমপির সিটিটিসি ইউনিট সব বিষয়গুলোকে নজরদারীর মধ্যে রেখেছে। ফলে বড় ধরনের কোন হামলার আশঙ্কা এখন আছে বলে আমরা মনে করি না।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাত পৌনে ৯টার দিকে রাজধানীর গুলশানের ৭৯ নম্বর রোডের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় পাঁচজনের একটি সন্ত্রাসী দল উপস্থিত সাধারণ মানুষের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলাকারীদের নৃশংসতার বলি হয় দেশী-বিদেশী মোট ২০ জন নাগরিক। এদের প্রত্যেককেই নির্মমভাবে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। নিষ্ঠুরতার শিকার হয়ে মারা যান ৯ জন ইতালীয়, ৭ জন জাপানি, ১ জন ভারতীয়, ১ জন বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত আমেরিকান এবং ২ জন বাংলাদেশী নাগরিক। সেদিনের সম্মিলিত প্রতিরোধ অভিযানে মোট ৩২ জনকে জীবিত উদ্ধার হয়।
প্রকৌশল নিউজ/এমআরএস