বাংলাদেশের সাবেক হাই কমিশনার মালয়েশিয়ায় গ্রেপ্তার
বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধে সাবেক হাই কমিশনার মোহাম্মদ খায়রুজ্জামানকে মালয়েশিয়ার পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে বলে জানিয়েছে সে দেশের গণমাধ্যম৷ তাকে গ্রেপ্তারের খবরটি নিশ্চিত করেন মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হামজা জাইনুদিন৷ বৃহস্পতিবার মালয়েশিয়ার দৈনিক পত্রিকা 'দ্য স্টার' এই খবর প্রকাশ করেছে৷ বুধবার মালয়েশিয়ার আমপাং, সেলাঙ্গর এলাকার একটি আবাসিক ভবন থেকে তাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধে সাবেক হাই কমিশনার মোহাম্মদ খায়রুজ্জামানকে মালয়েশিয়ার পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে বলে জানিয়েছে সে দেশের গণমাধ্যম৷ তাকে গ্রেপ্তারের খবরটি নিশ্চিত করেন মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হামজা জাইনুদিন৷ বৃহস্পতিবার মালয়েশিয়ার দৈনিক পত্রিকা 'দ্য স্টার' এই খবর প্রকাশ করেছে৷ বুধবার মালয়েশিয়ার আমপাং, সেলাঙ্গর এলাকার একটি আবাসিক ভবন থেকে তাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
হামজা জাইনুদিন বলেছেন, মাইগ্রেশন আইন ও নিয়ম মেনে খায়রুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে এবং গ্রেপ্তারের বিষয়ে বাংলাদেশের তরফে অনুরোধ করা হয়েছিল। তবে এ বিষয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় কোনো দেয়নি৷ একই সঙ্গে মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনও কোনো মন্তব্য করেনি৷ বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার মোহাম্মদ খায়রুজ্জামান গত ১২ বছরের বেশি সময় ধরে মালয়েশিয়ায় শরণার্থী হিসেবে বসবাস করছেন৷ তার বিরুদ্ধে ১৯৭৫ সালের জেলহত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে৷
চার দলীয় জোট সরকারের সময় রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পেয়েছিলেন সাবেক এই সেনা কর্মকর্তা৷ ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে শেখ হাসিনা সরকার তাকে দেশে ফিরতে বলেছিল। একই সঙ্গে তার বাংলাদেশি পাসপোর্টও বাতিল করা হয়৷ কিন্তু বিপদের আঁচ করতে পেরে তিনি জাতিসংঘের প্রতিষ্ঠান ইউএনএইচসিআরের শরণার্থী কার্ড নিয়ে সেখানে থেকে যান৷
১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ চার সঙ্গীকে৷ স্বাধীন বাংলার প্রথম সরকারকে নেতৃত্ব দেওয়া চার জাতীয় নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, এম মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামরুজ্জামানকে হত্যা মামলার আসামি ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত মেজর৷ ১৯৯৬ সালে যখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে তখন তিনি ফিলিপিন্সের দায়িত্বে ছিলেন৷ সেই বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর তাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং বাধ্যতামূলক অবসরও দেওয়া হয়েছিল। ২০০১ সালে বিএনপি-জামাত জোট ক্ষমতায় এলে তিনি সেই সময় জামিনে মুক্তি পান। ২০০৩ সালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডিরেক্টর জেনারেল হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছিল তাকে৷ বিএনপির আমলে ২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত তিনি রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেছেন৷ ২০০৪ সালে জেলহত্যা মামলা থেকে তাকে অব্যাহতি দিয়েছিল আদালত৷ ২০০৭ সালের তৎকালীন সরকার হাই-কমিশনার পদে নিয়োগ দিয়ে খায়রুজ্জামানকে মালয়েশিয়া পাঠায়৷ ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে খায়রুজ্জামানকে ঢাকায় ফিরতে বলে, কিন্তু তখনও তিনি ফেরেননি৷