ভারতে আবারও ৪ হাজারের বেশি মৃত্যু
করোনাভাইরাসের আঘাতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। ভেঙে পড়েছে দেশটির স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। দেশটিতে ভয়াবহ মাত্রায় বাড়ছে ভাইরাসটির সংক্রমণ। প্রায় প্রতিদিনই আক্রান্ত ও মৃত্যুর পুরাতন রেকর্ড ভেঙে নতুন নতুন রেকর্ড হচ্ছে দেশটিতে।
করোনাভাইরাসের আঘাতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। ভেঙে পড়েছে দেশটির স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। দেশটিতে ভয়াবহ মাত্রায় বাড়ছে ভাইরাসটির সংক্রমণ। প্রায় প্রতিদিনই আক্রান্ত ও মৃত্যুর পুরাতন রেকর্ড ভেঙে নতুন নতুন রেকর্ড হচ্ছে দেশটিতে।
টানা দ্বিতীয় দিনের মতো একদিনে দেশটিতে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা চার হাজারের ঘর ছাড়িয়েছে। একই সময়ে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যাও রয়েছে চার লাখের ওপরে।
রোববার (৯ মে) ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৪ লাখ ৩ হাজার ৭৩৮ জন। যা শনিবারের তুলনায় প্রায় ২ হাজার বেশি। সর্বশেষ এই পরিসংখ্যান নিয়ে মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে করোনায় আক্রান্তের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ২২ লাখ ৯৬ হাজার ৪১৪ জনে।
মহামারির শুরু থেকে হিসেব করলে শনিবার ভারতে সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। তবে রোববার সেই সংখ্যা কিছুটা কমে এলেও টানা দ্বিতীয় দিনের মতো ছাড়িয়েছে চার হাজারের গণ্ডি। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪ হাজার ৯২ জন। এতে দেশটিতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৪২ হাজার ৩৬২ জনে।
ভাইরাসে আক্রান্ত নতুন রোগী বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ভারতে বাড়ছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত মানুষের সর্বশেষ পরিসংখ্যান নিয়ে দেশটিতে এখন মোট সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩৭ লাখ ৩৭ হাজারে।
দৈনিক আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যায় রেকর্ডের পর পুরো ভারতজুড়ে ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ হয়ে আবির্ভূত হয়েছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস ইনফেকশন বা কালো ছত্রাক সংক্রমণ।
ছত্রাকজনিত এ রোগকে চিকিৎসাবিদ্যার ভাষায় বলা হচ্ছে ‘মিউকোরমাইকোসিস’। করোনায় আক্রান্তদের দেহেই এ রোগ দেখা দিচ্ছে। অনেকে করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হয়েও এ রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। অনেকে মারাও যাচ্ছেন। তাছাড়া দেহের বিভিন্ন ক্ষতি করছে এ ছত্রাক।
মূলত গুজরাট, দিল্লি ও মহারাষ্ট্রে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন লাফিয়ে বাড়ছে। আহমেদাবাদের বিজে মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে এ রোগে সংক্রমিত ৬৭ জনের সন্ধান পাওয়া গেছে। এক মাসেরও কম সময়ে এ সংক্রমণ ঘটছে। এ রোগের চিকিৎসায় আক্রান্তদের অস্ত্রোপচার করা হচ্ছে।