সেচ বিধিমালা ভঙ্গ করে অনুমোদন দেওয়ায় লোকসানের মুখে গভীর নলকূপ মালিকরা

রংপুর জেলার পীরগঞ্জে সরকারী নির্দেশনামতো ‘সেচ পাম্প’ আইন মানছেনা কেউ। যেখানে একটি সেচ পাম্প থেকে আরেকটি সেচপাম্পের দুরত্ব নিদিষ্ট করা থাকলেও সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের উদাসিনতা আর অহযোগীতার কারণে কেউ মানছেনা সেই আইন। ফলে, লোকসান ও গভীর সংকটে পড়ছে সেচ পাম্প মালিকরা। যার কারণে লাখ লাখ টাকা খরচ করে গভীর নলকূপ স্থাপন করলেও লাভের আশা বাদ দিয়ে  লোকসানের মুখে পড়েছে সেচ পাম্প মালিকরা।

সেচ বিধিমালা ভঙ্গ করে অনুমোদন দেওয়ায় লোকসানের মুখে গভীর নলকূপ মালিকরা

রংপুর জেলার পীরগঞ্জে সরকারী নির্দেশনামতো ‘সেচ পাম্প’ আইন মানছেনা কেউ। যেখানে একটি সেচ পাম্প থেকে আরেকটি সেচ পাম্পের দুরত্ব নিদিষ্ট করা থাকলেও সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের উদাসিনতা আর অহযোগীতার কারণে কেউ মানছেনা সেই আইন। ফলে, লোকসান ও গভীর সংকটে পড়ছে সেচ পাম্প মালিকরা। যার কারণে লাখ লাখ টাকা খরচ করে গভীর নলকূপ স্থাপন করলেও লাভের আশা বাদ দিয়ে  লোকসানের মুখে পড়েছে সেচ পাম্প মালিকরা।

পীরগঞ্জ উপজেলা সেচ কমিটির সূত্রে জানা যায়, বিএডিসি’র মতে উপজেলা প্রায় ২৫ শত থেকে ২৬ শত সেচ পাম্পের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। তবে, পীরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সূত্রে জানা গেছে,  প্রায় ১৩ শ থেকে ১৪ শত গভীর ও অগভীর নলকূপের সংযোগ দেয়া আছে।

পীরগঞ্জে বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে এমন চিত্র। উপজেলার চতরা ইউনিয়নের ধর্মদাস গ্রামের মৃত্যু আব্দুল বারী মিয়ার ছেলে রোকোনুজামান বাদল ১৬ সালে গভীর নলকূপ স্থাপন করে যাহার লাইসেন্স নং ২৪২/১৬। কিন্ত তার আশে পাশে অনেকেই অগভীর নলকূল বসিয়েছে কোন  কিছুর তোয়াক্কা না করেই। অথচ, সরকারের কৃষি কাজে ভূ-গর্ভস্থ পানি ব্যবস্থাপনা আইন- ২০০৯ বিধি ৪(৭) তে বলা আছে, দুইটি নলকূপের পারস্পরিক দূরত্ব ১৬৪০ ফুট থাকার কথা উল্লেখ আছে। অথচ সেখানে ১১৭০ ফুটের মধ্যে নতুন করে হাফ কিউসিক অগভীর নলকূপ সেচ পাম্প স্থাপন করে। এসব অবৈধ সেচ পাম্প মালিকদের বিরুদ্ধে দফায় দফায় কতৃপক্ষের নিকট অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার পাচ্ছে না ভুক্তভোগী বাদল।

রোকোনুজামান বাদল জানায়, এক কিউসেক এর একটি গভীর নলকূপ স্থাপন করলে কিছুদিন পর তার এরিয়ার মধ্যে ৪টি অবৈধ সেচ পাম্প বসে। শুরু থেকে ৩’শ বিঘা জমিতে পানি সেচ দিলেও বর্তমানে তার সেচ পাম্প এরিয়ায় কয়েকটি হাফ কিউসিক সেচ পাম্প বসানোর কারণে তার সেচ প্রকল্পে পানি সেচের জমির পরিমাণ কমে গেছে। যাতে করে তিনি খরচ মেটাতে হিমসিম খাচ্ছে, উল্টো লোন নিয়ে লোকসান মেটাতে হচ্ছে। 

উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) বিরোদা রানীর সাথে কথা বললে তিনি তদন্তের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন।

পল্লী বিদ্যুৎ এর জোনাল অফিসের ডিজিএম আসাদুজ্জামান বলেন, সেচ কমিটি লাইসেন্স দেখে আমরা সংযোগ দেই। যখন সেচ কমিটি অনুমোদন দেয় তখন শুধু আমরা বৈদ্যুতিক সংযোগ স্থাপন করে পাম্প সচল রাখার ব্যবস্থা করি।