ভাড়া শতভাগ বাড়ানোর দাবিতে এবার ধর্মঘটে লঞ্চ মালিকরা
জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে যাত্রীবাহী নৌযানের (লঞ্চ) খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় লঞ্চের ভাড়া শতভাগ বাড়ানোর দাবিতে অভ্যন্তরীণ নৌপথে লঞ্চ না চালানোর ঘোষণা দিয়েছে লঞ্চ মালিকেরা।
জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে যাত্রীবাহী নৌযানের (লঞ্চ) খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় লঞ্চের ভাড়া শতভাগ বাড়ানোর দাবিতে অভ্যন্তরীণ নৌপথে লঞ্চ না চালানোর ঘোষণা দিয়েছে লঞ্চ মালিকেরা।
শনিবার (৬ নভেম্বর) লঞ্চ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম ভূঁইয়া গণমাধ্যমে এ কথা জানান।
তিনি বলেন, জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে আমাদের দাবি না মানায় যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে লঞ্চের ভাড়া পুনঃনির্ধারণে লঞ্চ মালিক-শ্রমিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসবে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। আগামীকাল রোববার এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। তবে এর আগে যাত্রীদের কাছ থেকে পূর্বের নির্ধারিত ভাড়া নিতে বলা হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএ’র পরিচালক রফিকুল ইসলাম বলেন, রোববার বিকালে অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল সংস্থার সঙ্গে বৈঠকের পর ভাড়া বাড়ানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
এর আগে গতকাল শুক্রবার লঞ্চ মালিকরা এক চিঠিতে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় লঞ্চের ভাড়া শতভাগ বাড়ানোর দাবিতে বিআইডব্লিউটিএ-কে আলটিমেটাম দেন।
এর আগে যাত্রীবাহী লঞ্চের ভাড়া ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত ১ টাকা ৭০ পয়সার পরিবর্তে ৩ টাকা ৪০ পয়সা ও ১০০ কিলোমিটারের পর ১ টাকা ৪০ পয়সার বদলে ২ টাকা ৮০ পয়সা করার প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল সংস্থা। অন্যথায় তারাও ধর্মঘটে যাওয়ার হুমকি দেনন।
শুক্রবার (৫ নভেম্বর) বিকেলে সারা দেশের লঞ্চ মালিকদের সমন্বয়ে সংস্থার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক জরুরি সভায় এই প্রস্তাব করে তা বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের কাছে পাঠানো হয়েছে।
যাত্রীবাহী লঞ্চের পরিচালনা ব্যয় ও সদ্য জ্বালানি তেলের মূল্য লিটার প্রতি ১৫ টাকা বৃদ্ধির কারণে ভাড়া বাড়ানোর অনুরোধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল সংস্থার প্রেসিডেন্ট মাহবুব উদ্দিন আহমদ।