মন্ত্রিসভায় নারীদের পদ নিয়ে যা বললেন তালেবান
আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার শেষ পর্যায়ে চলে আসায় তালেবান নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে সংগঠনটির মুখপাত্র জাহিবুল্লাহ মুহাজিদ একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।
আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার শেষ পর্যায়ে চলে আসায় তালেবান নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে সংগঠনটির মুখপাত্র জাহিবুল্লাহ মুহাজিদ একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।
নতুন মন্ত্রিসভায় কোনো নারী পদ পাবেন কী না জানতে চাইলে জাহিবুল্লাহ মুহাজিদ জানান, এ ব্যাপারে দলের নেতারাই সিদ্ধান্ত নেবেন। তাদের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না।
ঠিক কবে তালেবানের নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করা হবে তা জানা যায়নি। তবে আগামী সপ্তাহেই তালেবান নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করতে পারে বলে জাহিবুল্লাহ মুহাজিদের বরাত দিয়ে ওই সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। তবে পরে একটি ভিডিও বার্তায় তিনি জানিয়েছেন, আগামী এক থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করা হবে।
জাহিবুল্লাহ মুহাজিদ জানান, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যেই আফগানিস্তান থেকে সব মার্কিন নাগরিক ও ঝুঁকিতে থাকা আফগানদের সরিয়ে নেওয়া হবে। কাবুল বিমানবন্দর থেকেও সরিয়ে দেওয়া হবে মার্কিন সেনাদের।
এ সময় কাবুল বিমানবন্দরে হামলার জবাবে আইএস জঙ্গিদের ওপর মার্কিন বিমান হামলার নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, এটা আফগান ভূখণ্ডের ওপর স্পষ্ট আঘাত।
এদিকে, মুদ্রার সংকট আর খাদ্যের দাম বৃদ্ধির কারণে অর্থনৈতিকভাবে ভেঙে পড়েছে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি।
তালেবান ক্ষমতা দখলের পর প্রায় দুই সপ্তাহ পার হলেও এখনো দেশটির ব্যাংকগুলোর কার্যক্রম পুরোদমে শুরু হয়নি। দেশটির অনেকের হাতেই নগদ অর্থ নেই। দেশটিতে আফগানি মুদ্রার বিপরীতে বিদেশি মুদ্রায় মানও কমে গেছে।
আফগানিস্তানের অর্থনীতি বৈদেশিক মুদ্রা আর আন্তর্জাতিক সাহায্যের ওপর অনেকাংশে নির্ভরশীল। কিন্তু কাবুলে মার্কিন সমর্থিত সরকারের পতনের পর সেসব বন্ধ হয়ে গেছে। যা দেশটির অর্থনীতির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনুদান থেকে পাওয়া অর্থ দিয়েই আফগানিস্তানের মোট ব্যয়ের ৭৫ শতাংশ মেটানো হয় বলে বিশ্বব্যাংক জানিয়েছে।
সব কিছু মিলিয়ে আফগানিস্তানে মারাত্মক অর্থনৈতিক ও মানবিক সংকট সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে মুজাহিদ জানান, নতুন সরকার গঠনের পর এসব অর্থনৈতিক সংকটের অবসান হবে।
এ ব্যাপারে তিনি বলেন, বিদেশি মুদ্রার বিপরীতে আফগানির মান কমে যাওয়ার বিষয়টি সাময়িক। দেশের পরিস্থিতি হঠাৎ বদলে যাওয়ায় এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। সরকার গঠনের পর সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।